New TMC: অভিষেকের স্ট্র্যাটেজি তৃণমূলের বিপদের সম্ভাবনা

পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট এখনও ঘোষণা করেনি কমিশন। কিন্তু এখন থেকেই জেলায় জেলায় প্রচারে জোর দিয়েছে ঘাসফুল (TMC) শিবির। প্রতিটি সভাতে গিয়ে কোনও না কোনও গ্রাম…

Abhishek Banerjee New Strategy Could Threaten Trinamool Congress

পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট এখনও ঘোষণা করেনি কমিশন। কিন্তু এখন থেকেই জেলায় জেলায় প্রচারে জোর দিয়েছে ঘাসফুল (TMC) শিবির। প্রতিটি সভাতে গিয়ে কোনও না কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত সহ ব্লক স্তরের নেতাদের ইস্তফা দেওয়ার নিদান দিচ্ছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পূর্ব মেদিনীপুরের পর নদিয়াতেও একই স্ট্র‍্যাটেজি নিতে দেখা গেছে তৃণমূলের সেকেণ্ড ইন কম্যান্ডকে।

দলীয় হাইকম্যান্ডের নির্দেশে পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন পদাধিকারীরা৷ হাইকম্যান্ডের নির্দেশ কিন্তু তাঁদের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার ঘটাচ্ছে। শনিবার নদিয়া জেলার তাতলা-১ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান পার্থপ্রতিম দেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ চার বছর তিনি নিজের গ্রামে যাননি। অথচ প্রধানের বক্তব্য চার বছরে ২০০ বার গেছেন। এর আগে মরিশদা গ্রামের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা দেখা গিয়েছিল।

   

Abhishek Banerjee

শনিবার অভিষেক ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তদের মোটেই রেয়াত করা যাবে না। আবার বলেছেন, বিরোধী পক্ষদের ছেড়ে মানুষের কথা ভেবে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিষেকের সিদ্ধান্তে খুশি তৃণমূলের একাংশ। তাঁদের কথায়, সমস্ত স্তরের নেতাদের ওপর নজরদারি রাখছেন তাঁদের নেতা। কিন্তু ক্রমাগত বেড়ে চলা বিক্ষুব্ধদের ওপর নজর রাখছে বিরোধীরা। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এরাই হতে পারে বিরোধীদের ট্রাম্প কার্ড।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতিতে ছত্রাকের মতো গজিয়ে উঠেছিল দুর্নীতির চক্র। এখন আবার আবাস যোজনা নিয়ে প্রতিটি গ্রামেই তৃণমূলের যোগ ধরা পড়ছে। তার ওপর অভিষেক যদি স্বচ্ছতার নজির গড়তে গিয়ে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকেই সিদ্ধামত নেয়, তাহলে বিপদ বাড়বে তৃণমূলের৷

যদিও শাসক শিবিরের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত মোটেই অমূলক নয়। তৃণমূল এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে৷ তাই যারা তলায় তলায় বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, যারা কোনও কাজ করেনি। তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।