ভগ্নপ্রায় এই বিদ্যালয় মেরামত করার প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ সরকার, শোচনীয় অবস্থায় পড়ুয়ারা

বয়স ১৩০ বছর। বহু ইতিহাসের সাক্ষী, সেই ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ঐতিহ্যশালী এই উড়িয়া বিদ্যালয়ের বর্তমানে করুণ অবস্থা। ২০০ জনের বেশি পড়ুয়া রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই…

Primary School Exam Papers to Be Prepared by Respective Schools: New Directive from Education Department

বয়স ১৩০ বছর। বহু ইতিহাসের সাক্ষী, সেই ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ঐতিহ্যশালী এই উড়িয়া বিদ্যালয়ের বর্তমানে করুণ অবস্থা। ২০০ জনের বেশি পড়ুয়া রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই স্কুল এখন সরকারি সাহায্যের প্রত্যাশায় দিন গুনছে। ২০১৯-এ ঝাড়খণ্ডের সিংভূম জেলায় অবস্থিত এই বিদ্যালয়ের ছয়টি শ্রেণিকক্ষ ভেঙে ফেলেছিল ঝাড়খণ্ড সরকার। পড়ে নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি। তাই বর্তমানে দুটি ভগ্নপ্রায় শ্রেণি কক্ষে চলছে ক্লাস। 

হিন্দি বা শক্ত অঙ্কের প্রশ্ন এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সমস্যার কারণ নয়। বরং উড়িয়া স্কুলের পড়ুয়াদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যালয় ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা। 

   

উল্লেখ্য, পশ্চিম সিংভূমের চক্রধরপুরের কেরার উড়িয়া মিডল স্কুল ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এখন এখানে মোট ২২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ২২৩ জনের মধ্যে ১১৩ জন পড়ুয়ার মাতৃভাষা ওড়িয়া। 

Advertisements

ঝাড়খণ্ডের ১০টি জেলায় প্রায় ২০ লক্ষ উড়িয়া ভাষী মানুষ বাস করেন। পূর্ব ও পশ্চিম সিংভূম এবং সারেইকেলা জেলার ৩০ শতাংশেরও বেশি মানুষ আবার উড়িয়া ভাষায় কথা বলেন। পাঁচ বছর ধরে স্কুল মেরামতের বহু চেষ্টা চালানোর পরও ব্যর্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাই সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর কাছে চিঠি লিখে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, “পাঁচ বছর হয়ে গেল বাচ্চারা বাইরে বা বারান্দায় বসে ক্লাস করছে। আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন, স্কুলের ন্যূনতম পরিকাঠামো না থাকায় পড়ুয়াদের বাইরে বসে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে স্কুলটিতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য আটটি শ্রেণিকক্ষ ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালে ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) সরকার ছয়টি ঘর ভেঙে দেয়। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছিল যে কক্ষগুলি শীঘ্রই পুনর্নির্মাণ করা হবে। কিন্তু পাঁচ বছর পরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কবে হবে তার উত্তর দেবে সময়।