হঠাৎ ঢ্যাঁড়শের দাম বাড়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য বাজারে, খোঁজ নিলেন বিশেষজ্ঞরা

বর্তমানে বাজারে সবজির দাম আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে, যা (Vegetable Price Hike) সাধারণ মানুষকে চরম আর্থিক চাপের মধ্যে ফেলেছে। বিশেষ করে ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, শসার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম এক লাফে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ টাকা, ৭০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে, কারণ বাজারের এমন অস্থিরতার মধ্যে অনেকেই তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খাবারের জোগান মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

এদিকে, দাম বৃদ্ধির পেছনে একাধিক কারণ উঠে আসছে। কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়লেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য সাধারণ মানুষ বিভিন্ন মহলে সুর চড়াচ্ছেন(Vegetable Price Hike) 

আবহাওয়া বা কালোবাজারি: কী কারণ(Vegetable Price Hike) 

প্রথমত, অতিবৃষ্টি এবং মৌসুমি পরিবর্তনকে কিছু বিশ্লেষক একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করছেন। বিশেষ করে গত কয়েকদিনে অনেক অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে শস্যের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই জমিতে পানি জমে গিয়ে সবজির উৎপাদনে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এর ফলে সরবরাহ কমে গেছে এবং দাম বেড়েছে।

অন্যদিকে, কিছু মানুষ মনে করছেন যে, বাজারে কালোবাজারি চলছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা একে অন্যের থেকে সস্তায় সবজি কিনে, তারপরে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। এ কারণে ক্ষুদ্র কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না এবং ভোক্তারা বেশি দামে কেনার জন্য বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষত পাইকারি বাজারে যখন চাহিদা বেশি, তখন ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে মুনাফা লাভ করছেন।

কৃষকরা কি ক্ষতির মুখে(Vegetable Price Hike) 

কৃষকদের মত অনুযায়ী, তারা উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। সাম্প্রতিক বৃষ্টির কারণে মাঠে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই সবজি মাটির নিচে পড়ে গিয়ে পঁচে যাচ্ছে। ফলে, কৃষকরা সবজি তুলতে পারেন না, আর যারা তুলছেন, তাদের উৎপাদনেও কমতি দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের কিছু ক্ষতিপূরণও মিলছে না, যার কারণে তাদের আয় কমে গেছে। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিন্তু এখনও লাভের মুখ দেখছেন, কারণ তারা তাদের স্টক সরবরাহের মাধ্যমে বাজারের চাহিদা মেটাচ্ছেন এবং সস্তায় কিনে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছেন(Vegetable Price Hike) 

খুচরো বিক্রেতাদের অভিযো(Vegetable Price Hike) 

খুচরো বিক্রেতাদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাদের পক্ষে দাম কমানোর সুযোগ নেই। এক বিক্রেতা বলেন, “আমরা অনেক সময় থেকে এই দামে সবজি কিনে আনি, কারণ আমদানি কমে গেছে। দাম না বাড়িয়ে বিক্রি করলে আমরা লোকসানে পড়ব।” তাদের মতে, মূলত সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। এ ছাড়াও পাইকারি ব্যবসায়ীরা যে দামে সবজি বিক্রি করছেন, সেটি অনেক বেশি, এবং সেই কারণেই তাদের বিক্রির দামও বেশি(Vegetable Price Hike) 

কিছু ব্যবসায়ীরা আরও জানান, আমদানি কমে যাওয়ার কারণ হলো কিছু এলাকায় পরিবহন সমস্যাও রয়েছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে গন্তব্যে পৌঁছানো যায় না। এর কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে, এবং খুচরো বিক্রেতাদের হাতে স্টক পৌঁছানোর পথেও বাধা আসছে।

মধ্যবিত্তের জন্য সংক(Vegetable Price Hike) 

সবজির দাম বৃদ্ধির এই প্রবণতা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য একটি বড় সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে যে পরিমাণে তারা বাজারে গিয়ে কিছু সবজি কিনে নিয়ে আসত, এখন সেই পরিমাণে কিনতে গেলে অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে। বিশেষত ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, শসা, বরবটি, লাউ—এগুলো সাধারণত মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় থাকে, কিন্তু এখন সেগুলির দাম এত বেড়ে গেছে যে, অনেকেই এগুলো কিনতে একেবারে বিরত হচ্ছেন।

এছাড়া, রোজকার বাজারে গিয়ে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরিবারের অন্যান্য খরচেও প্রভাব পড়ছে। অনেক পরিবার ভাবছেন, “এভাবে চলতে থাকলে কীভাবে সংসার চালানো যাবে?” ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়ে যাচ্ছে, কারণ তারা দুশ্চিন্তা করছেন, এই দামবৃদ্ধি কবে কমবে বা তাদের কেনাকাটার ক্ষমতা কবে পুনরুদ্ধার হবে।(Vegetable Price Hike)