ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রতিদিন সকাল ৬টায় সংশোধন করা হয়, যা আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের দাম এবং মুদ্রার মানের ওঠানামা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। এর মাধ্যমে, ভারতীয় তেল বিপণন কোম্পানিগুলি (OMCs) গ্রাহকদের কাছে সর্বশেষ ও সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই দাম পরিবর্তনগুলি করে থাকে। এতে করে সাধারণ মানুষ জানেন যে, তেলের দাম পরিবর্তন হচ্ছে কেন এবং কিভাবে।
১৬ মার্চ, ২০২৫ – সারা দেশের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম:
দিল্লি : পেট্রোল ৯৪.৭২ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৮৭.৬২ টাকা।
মুম্বাই : পেট্রোল ১০৩.৪৪ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৮৯.৯৭ টাকা।
চেন্নাই : পেট্রোল ১০০.৮৫ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৯২.৪৪ টাকা।
কলকাতা : পেট্রোল ১০৩.৯৪ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৯০.৭৬ টাকা।
নয়ডা : পেট্রোল ৯৪.৬৬ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৮৭.৭৬ টাকা।
লখনউ : পেট্রোল ৯৪.৬৫ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৮৭.৭৬ টাকা।
বেঙ্গালুরু : পেট্রোল ১০২.৮৬ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৮৮.৯৪ টাকা।
হায়দ্রাবাদ : পেট্রোল ১০৭.৪১ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৯৫.৬৫ টাকা।
জয়পুর : পেট্রোল ১০৪.৮৮ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৯০.৩৬ টাকা।
ত্রিবেন্দ্রাম : পেট্রোল ১০৭.৬২ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৯৬.৪৩ টাকা।
ভুবনেশ্বর : পেট্রোল ১০১.০৬ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৯২.৯১ টাকা।
ভারতে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, এবং দেশের অর্থনীতির উপর যাতে তেলের দামের বিরূপ প্রভাব না পড়ে, সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি সাধারণত আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রুড অয়েলের দাম, বৈদেশিক মুদ্রার মান, এবং তেল খাতে সরকারের নীতির উপর নির্ভর করে।
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম পরিবর্তনের কারণ:
১. আন্তর্জাতিক ক্রুড অয়েলের দাম: ভারত আমদানি করে অধিকাংশ তেল, তাই বৈশ্বিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম বেড়ে গেলে দেশীয় বাজারে তেলের দামও বৃদ্ধি পায়। বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম পরিবর্তিত হওয়ার কারণে দেশের বাজারে তেলের দাম প্রভাবিত হয়।
২. বৈদেশিক মুদ্রা মূল্য: ভারতের তেল আমদানির জন্য মূলত ডলার ব্যবহৃত হয়, এবং ভারতীয় রুপি যদি ডলারের বিপরীতে দুর্বল হয়, তবে তেলের দাম বেড়ে যায়। রুপি দুর্বল হলে, তেল আমদানি খরচ বাড়ে, ফলে পেট্রোল ও ডিজেলের দামও বৃদ্ধি পায়।
৩. কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের কর: পেট্রোল ও ডিজেল মূল্যের একটি বড় অংশ হল সরকার কর্তৃক আরোপিত কর। এটি প্রধানত কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারের মধ্যকার তেল করের পার্থক্যের কারণে। দেশের কিছু রাজ্যে করের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে সেখানকার তেলের দাম অন্য রাজ্যের তুলনায় বেশি হতে পারে।
৪. শোধন খরচ: অপরিশোধিত তেল শোধন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট খরচ রয়েছে, যা তেলের দামকে প্রভাবিত করে। তেলের প্রকারভেদ, শোধনাগারের দক্ষতা, এবং উৎপাদন খরচের উপর ভিত্তি করে এই খরচের তারতম্য ঘটে।
৫. চাহিদা এবং সরবরাহ: পেট্রোল এবং ডিজেলের চাহিদা ও সরবরাহের মাঝে ভারসাম্যও দামকে প্রভাবিত করে। চাহিদা বাড়লে সরবরাহ কম হলে দাম বৃদ্ধি পায়, আবার সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যেতে পারে।
SMS এর মাধ্যমে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম:
এখন, আপনার শহরের পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম জানার জন্য আপনি SMS এর মাধ্যমে সহজেই এটি জানতে পারবেন।
– Indian Oil গ্রাহকরা 9224992249 নম্বরে শহরের কোড দিয়ে “RSP” পাঠালে বর্তমান পেট্রোল ও ডিজেল দামের তথ্য পেয়ে যাবেন।
– BPCL গ্রাহকরা 9223112222 নম্বরে “RSP” পাঠালে দাম জানতে পারবেন।
– HPCL গ্রাহকরা 9222201122 নম্বরে “HP Price” পাঠালে তাঁদের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম জানা যাবে।
ভারতের তেল বিপণন কোম্পানিগুলি প্রতিদিন ৬টায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আপডেট করে, যাতে গ্রাহকরা সঠিক দাম জানতে পারেন। এই দামগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রুড অয়েলের দাম, মুদ্রার মান এবং দেশীয় রাজস্ব নীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারের নিয়মিত মূল্যনীতি ও কর পদ্ধতির ফলে, ভারতীয় বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হয়েছে। তবে, বৈশ্বিক বাজারে তেলের মূল্য যদি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়, তবে দামও তা অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
তেলের দাম জানার জন্য যে কোনও সময় SMS বা অনলাইনে চেক করতে পারেন, যা গ্রাহকদের জন্য একটি সহজ ও সুবিধাজনক উপায়।