Voter Card: ভোট না দিলে বাতিল হবে আপনার ভোটার কার্ড? জানুন সত্যিটা

গণতান্ত্রিক দেশে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভোট (Voter Card)। নাগরিক হিসেবে ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেকেরই দায়িত্ব নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা অর্থাৎ, ভোট দেওয়া। কিন্তু অনেকেই…

Voter-Card

গণতান্ত্রিক দেশে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভোট (Voter Card)। নাগরিক হিসেবে ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেকেরই দায়িত্ব নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা অর্থাৎ, ভোট দেওয়া। কিন্তু অনেকেই নানা কারণে ভোট দেন না। নির্বাচন আসলেই অনেক জায়গাতেই গুজব ছড়ায় যে ভোট না দিলে অকেজো হয়ে যাবে ভোটার কার্ড। এবারের লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনও এই ধরনের গুজব ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু সত্যিটা কী? ভোট না দিলে কি সত্যিই আপনার ভোটার কার্ড বাতিল হয়ে যাবে?

এক্ষেত্রে বলে রাখা উচিত, ভোট দেওয়া বা না দেওয়ার সঙ্গে ভোটার কার্ড বাতিলের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে দেশের প্রত্যেক দায়িত্ববান নাগরিকেরই উচিত ভোট দেওয়া। ভারতের নির্বাচন কমিশন এই জন্য বছরভর দেশের সমস্ত রাজ্যেই বিভিন্ন প্রচার কর্মসূচি চালায়। ভোটারদের বুথে আনার জন্য এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন পদক্ষেপও নেয় কমিশন। একই সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার চালানো হয়। এর পিছনে কিন্তু লক্ষ্য একটাই, বেশি সংখ্যক ভোটারকে বুথমুখী করা।

   

এবারের লোকসভা নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। তীব্র গরমে ভোটারদের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুথে বুথে জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ভোটারদের জন্য ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মডেল বুথগুলিতে ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে ওষুধের ব্যবস্থাও করেছে কমিশন। একই সঙ্গে ভোটারদের জন্য সেলফি জোন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় কমিশনের তরফে গাড়ি পাঠিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটারদের বুথে আনার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

ভারতের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকায় আপনি একবার নাম তুললে সেই নাম থেকেই যাবে। তাই ভোট দিন বা না দিন, আপনার ভোটার কার্ড সক্রিয় থাকবে। এ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভারতে ভোট না দিলেও ভোটারদের উপর কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয় না। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই সমস্ত দেশে ভোট না দিলেও শাস্তির মুখেও পড়তে হয় ভোটারদের। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে অবশ্য ছাড় মেলে।

প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। ১৯ এপ্রিল এবং ২৬ এপ্রিল, দু’দফার ভোট ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। তৃতীয় ধাপে ৭ মে, চতুর্থ ধাপে ১৩ মে, পঞ্চম ধাপে ২০ মে, ষষ্ঠ ধাপে ২৫ মে এবং সপ্তম ধাপে ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে মোট ৪৩ দিন। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।