বাজারে সবজির দর নিম্নমুখী, স্বস্তি পেলেন মধ্যবিত্তরা

সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম বড় চিন্তার জায়গা হলো বাজার-খরচ  (Vegetable price) । বিশেষ করে সবজি (Vegetable price) ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যখন হু-হু করে…

Vegetable Price list today in kolkata 16 august 2025

সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম বড় চিন্তার জায়গা হলো বাজার-খরচ  (Vegetable price) । বিশেষ করে সবজি (Vegetable price) ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যখন হু-হু করে বাড়তে থাকে, তখন তা মধ্যবিত্ত পরিবারের বাজেটে যথেষ্ট চাপ তৈরি করে। গত কয়েক মাস ধরে ঠিক এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই গিয়েছেন শহর ও গ্রামের সাধারণ ক্রেতারা। তবে সম্প্রতি বাজারে সবজির দর খানিকটা নিম্নমুখী হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ক্রেতারা।

কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাটবাজারে গত সপ্তাহ থেকেই সবজির দরে ধীরে ধীরে পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাইকারি বাজারে যোগান বাড়ায় খুচরো দরে প্রভাব পড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, যে টমেটোর দাম কিছুদিন আগেই কেজি প্রতি (Vegetable price) ১০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, বর্তমানে তা অনেকটাই কমে দাঁড়িয়েছে ৪০–৫০ (Vegetable price) টাকায়। ফুলকপি, পটল, ঢেঁড়স, কুমড়ো কিংবা লাউয়ের মতো সবজিতেও(Vegetable price) দাম কমেছে প্রায় ২০–৩০ শতাংশ।

   

সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে আলু ও পেঁয়াজের বাজারে(Vegetable price) । বিগত কয়েক মাস ধরেই আলুর দাম মধ্যবিত্তদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়েছিল। তবে নতুন ফসল আসতে শুরু করায় বাজারে চাপ কমেছে, এবং বর্তমানে আলুর দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছেছে। অন্যদিকে পেঁয়াজের বাজারে এখনও খানিক অস্থিরতা থাকলেও, আগের তুলনায় দাম কিছুটা নেমেছে।

ক্রেতাদের বক্তব্য, প্রতিদিনের রন্ধনপ্রণালীর সঙ্গে যুক্ত সবজির দামে এই পতন তাঁদের জন্য স্বস্তিদায়ক। “বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ, বিদ্যুতের বিল, ভাড়া—সব মিলিয়ে আগের মতোই টানাটানি চলছে। তার ওপর বাজারে সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে তো সংসার চালানোই দায় হয়ে যায়। এখন অন্তত কিছুটা স্বস্তি মিলছে,” বলছেন দক্ষিণ কলকাতার এক গৃহিণী।

অন্যদিকে সবজির(Vegetable price) ব্যবসায়ীরাও মানছেন যে, বৃষ্টিপাত ও পরিবহণ ব্যবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। আগে যেখানে খামার থেকে শহরে সবজি আনতে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছিল, বর্তমানে তা অনেকটাই সহজ হয়েছে। ফলে যোগান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দামের ওপর প্রভাব ফেলছে।

Advertisements

তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই স্বস্তি হয়তো দীর্ঘস্থায়ী হবে না। বর্ষার শেষে ফের কিছু সবজির উৎপাদন কমে যেতে পারে, যার ফলে দরে উর্ধ্বগতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের দামের ওঠানামাও সবজি বাজারে প্রভাব ফেলে। তাই আগামী দিনে পরিস্থিতি কেমন হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।

কৃষকদের কথায়, বর্তমানে উৎপাদন ভালো হলেও তাঁদের লাভ তেমন বেশি হচ্ছে না। কারণ, পাইকারি দরে দাম নেমে যাওয়ায় তারা যথাযথ মুনাফা পাচ্ছেন না। “আমাদের খরচ তো একই আছে—সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি সব বাড়ছে। কিন্তু বাজারে যদি দরে পতন হয়, তখন আমাদের পক্ষে লাভ করা কঠিন হয়ে পড়ে,” জানালেন হুগলির এক সবজি চাষি(Vegetable price) ।

সবজি দরের এই ওঠানামার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষজন। দাম বাড়লে যেমন তাঁদের দৈনন্দিন রান্নায় কাটছাঁট করতে হয়, তেমনি দাম কমলেও তাঁদের আয় একই রকম কম থাকে। ফলে এই সাময়িক স্বস্তি মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো তাদের কাছে খুব একটা কার্যকর হয় না।