মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখে সবজির দামে রাশ টানল সরকার, কতটা কমল আনাজ

প্রতিদিনই প্রায় একটু একটু করে দাম বাড়ছে সমস্ত শাক-সবজির (Vegetable Price)। সবজির এই লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধিতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে মধ্যবিত্তের। সবমিলিয়ে বলতে গেলে বাজারে গিয়ে…

Today Vegetable Price Drop Before Durga Puja

প্রতিদিনই প্রায় একটু একটু করে দাম বাড়ছে সমস্ত শাক-সবজির (Vegetable Price)। সবজির এই লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধিতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছে মধ্যবিত্তের। সবমিলিয়ে বলতে গেলে বাজারে গিয়ে সবজির দাম (Vegetable Price) দেখে কার্যত ছেঁকা খাচ্ছে আমজনতা।

এবার দেখে নেওয়া যাক, শনিবার কলকাতার বাজারে কতটা কমল-বাড়ল সবজির দাম (Vegetable Price)? প্রতিদিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দামে (Vegetable Price) কম-বেশি হেরফের দেখা যাচ্ছে। এখন পটল, ঢেঁড়স, বেগুন, ঝিঙে, আলু,আদা থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশিরভাগ সবজি (Vegetable Price) কিনতে গিয়ে দাম দেখে মাথায় হাত পড়েছে আমজনতার।

   

তবে এখনও পর্যন্ত লাগাতার দাম বৃদ্ধি হচ্ছে বিভিন্ন সবজির (Vegetable Price)। কিন্তু পুজোর মধ্যে ব্যবসায়ীরা যাতে আর দাম বৃদ্ধি করতে না পারে তার জন্য বেশ কিছুদিন আগে বিভিন্ন বাজারে নজরদারি চলেছে টাস্ক ফোর্সের। এমনকি এ নিয়ে ডাকা বৈঠকে রাজ্যে সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেমন কথা তেমন কাজও শুরু হ?ে যায়৷ আর মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখে কিছুটা রাশ টেনে ধরল সরকার৷ সবজির জোগান বাড়িয়ে, দাম কমিয়ে পুজোর আগেই রাজ্যবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এই তালিকা অনুযায়ী যা দেখা যাচ্ছে, সুফল বাংলা স্টলে গত ১২ অক্টোবর কেজি প্রতি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। ১৯ অক্টোবর টমেটোর দাম কমে হয়েছে ৬৫ টাকা। 

অর্থাৎ কেজি প্রতি টমেটোর দাম এক সপ্তাহে ২০ টাকা কমেছে। একই অবস্থা শসা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙে, লাউ, করলা, পটল, পিঁয়াজের। শসার দাম ৫২ টাকা থেকে কমে ৩৫ টাকা হয়েছে। ঢ্যাঁড়শ-ঝিঙের দাম কেজি প্রতি ১৪ টাকা, করলা ১৩ টাকা, বেগুনের দাম ১৫ টাকা, মাকড়া বেগুন ১০ টাকা, লাউ ৮ টাকা, পটল ৪ টাকা কমেছে। 

নবান্ন জানিয়েছে, কলকাতা-সহ রাজ্যের সব জেলায় কলকাতা পুরসভা, জেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের সমন্বয়ে তৈরি টাস্ক ফোর্স নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছে। উদ্দেশ্য একটাই, সবজির জোগান এবং দাম স্থিতিশীল রাখা। নবান্নের দাবি, এই ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণের জন্যই পুজোর মুখে ও উৎসব পরবর্তী সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।