টমেটো-পেঁয়াজ—(Vegetable price) ভারতীয় রান্নাঘরের দু’টি অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু রবিবারের বাজারে গিয়ে ক্রেতারা যেন মাথায় হাত দিয়ে ফিরে এসেছেন। একদিকে টমেটোর দাম রেকর্ড ছুঁয়েছে, অন্যদিকে পেঁয়াজের দরও আগুন। ফলে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত—সবাই এখন বাজেট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
দামের হালচাল
শহরের বড় বাজার থেকে পাড়ার ছোট হাট—সব জায়গাতেই চিত্র এক। টমেটো কেজি প্রতি ১৪০–১৫০ টাকা, যা গত মাসে ছিল ৬০–৭০ টাকা(Vegetable price) । পেঁয়াজের দরও কেজি প্রতি ৫০–৬০ (Vegetable price) টাকায় পৌঁছেছে, যেখানে কিছুদিন আগেও ছিল ২৫–৩০ টাকা। শুধু তাই নয়, সবুজ মরিচ, আলু, (Vegetable price) পটল, ঝিঙে—প্রায় সবজির দামই একলাফে বেড়েছে।
কেন বাড়ছে দাম?
ব্যবসায়ী ও বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, লাগাতার বৃষ্টি এবং পরিবহণ ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমেছে। গ্রামীণ এলাকায় টমেটো ও পেঁয়াজের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। অনেক ক্ষেতেই জলাবদ্ধতার কারণে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ পচে গেছে। অন্যদিকে, পরিবহণের খরচও বেড়েছে জ্বালানির দামের সাথে সাথে, যা সরাসরি সবজির দরে প্রভাব ফেলেছে।
ক্রেতাদের অসুবিধা
মালতী দেবী, গড়িয়াহাট বাজারের এক নিয়মিত ক্রেতা, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দু’টো সবজি কিনতেই ২০০ টাকা চলে যাচ্ছে। বাচ্চাদের জন্য ফল কিনব, না রান্নার জন্য মশলা আনব—বুঝে উঠতে পারছি না।” একই সুর শোনা গেল অফিসযাত্রী অরিন্দম বাবুর মুখেও। তাঁর কথায়, “আগে ৫০০ টাকায় সপ্তাহের বাজার হয়ে যেত, এখন সেটা ১২০০ টাকাতেও হচ্ছে না।”
বিক্রেতাদের অবস্থাও সহজ নয়
সবজির ব্যবসায়ীরাও দামের জন্য খুশি নন। তাঁদের বক্তব্য, দামে বৃদ্ধির ফলে বিক্রি কমে গেছে। কম ক্রেতা মানে দিনের শেষে অবিক্রীত পণ্যের সম্ভাবনা বেশি, যা পচে গেলে সরাসরি ক্ষতি। কাঁচাবাজারের (Vegetable price) বিক্রেতা শম্ভু দাস বলেন, “আমরাও চাই দাম কম থাকুক, তাতে বিক্রি বাড়ে। কিন্তু আমরা যে দামে কিনছি, সেই দামে না বিক্রি করলে ক্ষতি হবেই।”
সরকারি উদ্যোগের দাবি
অনেকেই চাইছেন, সরকার যেন সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দামের লাগাম টানে। সরকারি বিপণি বা সহায়ক কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে টমেটো-পেঁয়াজ সরবরাহের দাবি উঠছে। কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে পাইকারি বাজারে বাড়তি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।