বর্ষার মরশুম শেষের পথে হলেও তার রেশ এখনও রয়েছে। বর্ষা মানেই অতিবৃষ্টি, আবার কখনও অনাবৃষ্টি—যার সরাসরি প্রভাব পড়ে কৃষিক্ষেত্রে। ফসল নষ্ট হলে বাজারে যোগান কমে যায়, আর যোগান কমলেই স্বাভাবিকভাবে বাড়ে দাম। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। জুলাই-আগস্টে একাধিক সবজির দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছিল। টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি থেকে শুরু করে বেগুন, ঢেঁড়স, আলু—প্রতিটি সবজির দাম (vegetable price) মধ্যবিত্তের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে—কত দিনের মধ্যে কমতে পারে এই সবজির দাম?(vegetable price)
রান্না পুজো ও চাহিদার চাপ
দিন কয়েক পরেই আসছে অরন্ধন বা রান্না পুজো। বাংলার ঘরে ঘরে এই উৎসব পালিত হয় বিশেষভাবে। দিনটিতে নানা রকমের নিরামিষ পদ রান্না করা হয়। ফলে এই সময়ে সবজির চাহিদা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। খুচরো বাজারে চাহিদা যত বাড়ে, দামও (vegetable price) চড়ে। ফলে মানুষ এখন নজর রাখছেন পাইকারি বাজারের দিকে। কারণ পাইকারি বাজারে যদি সরবরাহ বাড়ে এবং দাম কিছুটা কমে, তবে তার প্রভাব পড়বে খুচরো বাজারেও।
পাইকারি বাজারের পরিস্থিতি
পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ধীরে ধীরে মাঠ থেকে সবজি আসা শুরু হয়েছে। বর্ষার জল নেমে যাওয়ার ফলে জমিতে ফসল তুলতে সুবিধা হচ্ছে কৃষকদের। বিশেষ করে আলু, বেগুন, ঢেঁড়স, পটল ও ঝিঙের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। তবে যেসব সবজি (vegetable price) অনেকটা মৌসুমভিত্তিক, যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি বা শীতকালীন শাকসবজি, সেগুলো বাজারে আসতে আরও অন্তত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে।
ফলে আপাতত দামের তেমন কোনও বড় রকমের পতন হবে না। তবে ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, আগামী দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে যদি আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকে, তাহলে বেশ কয়েকটি সবজির দাম অনেকটাই কমে আসতে পারে।
খুচরো বাজারে ভোক্তাদের আশা
খুচরো বাজারের ক্রেতাদের এখন একটাই আশা—দ্রুত যেন দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। কারণ রান্না পুজোর আগে বাজার করতে গেলে যেভাবে প্রতিদিনের বাজেট বেড়ে যাচ্ছে, তা সামলানো কঠিন হয়ে উঠছে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য। প্রতিদিনের বাজারে যেখানে আগে ২০০-২৫০ টাকায় প্রয়োজনীয় সবজি হয়ে যেত, এখন সেখানে খরচ হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা।(vegetable price)