ভারতের চকোলেট বাজার অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ২০৩২ সালের মধ্যে ৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। একটি শক্তিশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে এই প্রবৃদ্ধি ঘটছে। বিশেষত ভ্যালেন্টাইনস উইক চলাকালে, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি, চকোলেটের বিক্রির হার আকাশচুম্বী হয়ে ওঠে। এই সময় চকোলেটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়, যা শুধুমাত্র মিষ্টির শখ নয়, ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেও স্থান পায়।
ভারতের চকোলেট বাজার ২০২৩ সালে ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২১ লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছেছে। চাহিদার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, IMARC গ্রুপ পূর্বাভাস দিয়েছে যে ২০৩২ সালের মধ্যে ভারতের চকোলেট বাজার ৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে, যা ২০২৪-২০৩২ সময়কালে ৭.৭% প্রবৃদ্ধির হারের সাথে বৃদ্ধি পাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মিল্ক চকোলেট ভারতের চকোলেট বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরনের পণ্য।
IMARC গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের চকোলেট বাজারের বৃদ্ধির কারণ হলো মধ্যবিত্ত শ্রেণির বৃদ্ধি এবং ভারতের মানুষের মধ্যে অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা আয়। আরও বলা হয়েছে, “পশ্চিমী প্রভাব দ্বারা চিহ্নিত যুব সম্প্রদায়ও চকোলেটের চাহিদা বাড়াচ্ছে”।
ভারতে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলির বৃদ্ধির কারণে চকোলেটের বাজার দ্রুত বাড়ছে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চকোলেট পণ্যগুলির চাহিদাও বেড়ে গেছে। হোয়াইট চকোলেট এবং মিল্ক চকোলেটের বাজারে একটি বড় অংশ রয়েছে। ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় চকোলেট ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে ক্যাডবুরি, নেসলে, ফেরেরো রোচের, আমুল, পার্লে, মার্স এবং হার্সে অন্যতম।
ভ্যালেন্টাইনস উইক চলাকালে চকোলেট ব্যবসা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। অনেক চকোলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানি এই সময়ে বিশেষ চকোলেট উপহার বক্স লঞ্চ করে। ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে চকোলেটের দাম ৫০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, যা সাইজ এবং গুণগত মানের উপর নির্ভর করে। চকোলেটের পাশাপাশি, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে গোলাপ বিক্রিও ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
ভারতের চকোলেট বাজার এখন একটি বিশাল শিল্পে পরিণত হয়েছে, যা বিশেষত ভ্যালেন্টাইনস উইকের মতো বিশেষ দিনগুলিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। ভারতের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চকোলেটের জনপ্রিয়তা এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে বিক্রির বৃদ্ধি চকোলেট শিল্পের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করে তুলছে।