দেশের শিশুদের আধার তথ্য সঠিক ও হালনাগাদ রাখতে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI) এক নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এবার শিশুদের বায়োমেট্রিক আপডেট প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে এবং সচেতনতা বাড়াতে তারা ব্যবহার করছে Behavioural Science বা আচরণগত বিজ্ঞান। এই প্রকল্পের লক্ষ্য—প্রযুক্তি ও মানব আচরণের সমন্বয়ে ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থাকে আরও নির্ভরযোগ্য ও সহজ করে তোলা।
আচরণগত বিজ্ঞানের মাধ্যমে আধার আপডেট সহজ করার উদ্যোগ:
ইউআইডিএআই শিশুদের আধার আপডেট প্রক্রিয়ায় পিতামাতার অংশগ্রহণ বাড়াতে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংস্থা Behavioural Insights Limited (BIT)-এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। এই সংস্থা সরকারি পরিষেবায় আচরণগত গবেষণার প্রয়োগের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত। উভয় সংস্থা একসঙ্গে কাজ করবে যাতে বোঝা যায়, কী কারণে পিতামাতারা শিশুদের আধার আপডেট করতে পিছিয়ে পড়েন এবং কীভাবে সেই প্রক্রিয়াকে আরও সুবিধাজনক ও সহজ করা যায়।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইউআইডিএআই বিভিন্ন ধারণা পরীক্ষা করবে—যেমন স্পষ্ট নির্দেশিকা, সহজ রিমাইন্ডার এবং সহজলভ্য এনরোলমেন্ট সেন্টারের ব্যবস্থা। এর ফলে পিতামাতারা সময়মতো বায়োমেট্রিক আপডেট সম্পন্ন করতে পারবেন, এবং শিশুদের সরকারী সুবিধা পেতে কোনো বাধা থাকবে না।
ইউআইডিএআই-এর সিইও ভূবনেশ কুমার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, “যখন প্রযুক্তি মানব আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তখন ডিজিটাল পরিচয় একটি কেবলমাত্র প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া না থেকে একটিকে আরও সহজ, নির্ভরযোগ্য ও ক্ষমতায়নমূলক অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।”
৬ কোটি শিশুর জন্য ফ্রি বায়োমেট্রিক আপডেট: UIDAI Child Aadhaar Biometric Update
শিশুদের জন্য বড় স্বস্তির খবর—ইউআইডিএআই ঘোষণা করেছে যে ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের আধার বায়োমেট্রিক আপডেট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা যাবে। এই সুবিধা ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে এক বছরের জন্য কার্যকর হয়েছে। এই উদ্যোগে প্রায় ৬ কোটি শিশু উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পিতামাতারা তাঁদের সন্তানের আধার নম্বর নিয়ে নিকটস্থ অনুমোদিত আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, আইরিস এবং ছবি আপডেট করতে পারবেন। সেন্টারগুলির পূর্ণ তালিকা Bhuvan Aadhaar Portal-এ পাওয়া যাবে।
অ্যাক্সেস ও সচেতনতা বাড়াতে অংশীদারিত্ব:
ইউআইডিএআই ও বিআইটি-র মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে (MoU) উপস্থিত ছিলেন ইউআইডিএআই সিইও ভূবনেশ কুমার, ডিডিজি তনুশ্রী দেব বর্মা ও বিআইটি সিইও রবি গুরুমূর্তি। বিআইটি-এর আরেক সিইও র্যাচেল কয়েল বলেন, “আচরণগত গবেষণার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে প্রতিটি আধারধারী সহজেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্কিম ও সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।”
শেষ কথা:
এই যৌথ উদ্যোগ শিশুদের আধার আপডেট প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং দেশের ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।


