হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য আবারও আসছে এক নতুন চমক। মেসেজিং অ্যাপটি এবার স্টেটাস (WhatsApp Status) সেকশনে নিয়ে আসছে ‘কোয়েশ্চেন’ (Questions) ফিচার। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের কনট্যাক্টদের উদ্দেশ্যে সরাসরি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং তারা সেই প্রশ্নের মনমতো উত্তর লিখে দিতে পারবেন। এই নতুন ফিচারটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Poll ফিচার থেকে একেবারে আলাদা এই ফিচার
WABetaInfo-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপ বিটা ফর অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 2.25.21.8-এ এই নতুন ফিচারটি প্রথম দেখা গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্টেটাস (WhatsApp Status) সেকশনে একটি নতুন ‘Questions’ বক্স যুক্ত হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারী তার প্রশ্ন টাইপ করতে পারবেন এবং নিচে একটি ‘Respond’ বাটন থাকবে। সেই বাটনে ক্লিক করলেই কনট্যাক্টরা তাদের উত্তর পাঠাতে পারবে। এটি একেবারে আলাদা একটি ফর্ম্যাট, কারণ এখন পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে যে Poll ফিচার ছিল, তাতে ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট কিছু অপশন দিতে হতো এবং উত্তরদাতাকে সেই অপশনগুলির মধ্যে থেকে একটি বেছে নিতে হতো। কিন্তু Questions ফিচারে পুরোপুরি নিজেদের ইচ্ছে মতো উত্তর দেওয়া যাবে, ঠিক যেভাবে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে Q&A ফিচার কাজ করে।
WhatsApp Status-এ কেন এই ফিচারটি গুরুত্বপূর্ণ
এই নতুন ফিচারটি কেবলমাত্র সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য নয়, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ব্র্যান্ড বা ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল হতে চলেছে। এটি স্টেটাসের মাধ্যমে সরাসরি ফিডব্যাক নেওয়া বা দর্শকদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করার একটি নতুন পথ খুলে দেবে। ব্যবহারকারীরা এখন শুধুমাত্র ছবি বা টেক্সট শেয়ার করেই থেমে যাবেন না, বরং তারা একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিতে পারবেন এবং সরাসরি সেই প্রশ্নের উত্তরও পেতে পারবেন, যা স্টেটাসকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে।
Samsung Galaxy F36 5G কাল আসছে, 6000mAh ব্যাটারি ও 50MP ক্যামেরা সহ বাজিমাতের প্রস্তুতি
বর্তমানে এই ফিচারটি শুধুমাত্র বিটা ইউজারদের জন্য উপলব্ধ। তবে আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি (WhatsApp Status) পাবলিক ভার্সনে রোলআউট করা হবে। যেসব ব্যবহারকারী বিটা ভার্সন ব্যবহার করছেন না, তাদের এই ফিচার ব্যবহারের জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন ও ইন্টারঅ্যাকটিভ ফিচার আনছে। ‘Questions’ ফিচারটি শুধুমাত্র স্টেটাসকে আরও আকর্ষণীয়ই করবে না, বরং এটি প্রতিদিনের ডিজিটাল যোগাযোগের ধরণেও পরিবর্তন আনতে পারে। এখন দেখার বিষয়, সাধারণ ব্যবহারকারীরা কতটা উৎসাহ নিয়ে এই নতুন ফিচার গ্রহণ করেন।