প্রিমিয়াম ফিচার এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের সমন্বয়ে Vivo তাদের নতুন স্মার্টফোন Vivo X200 FE লঞ্চ করেছে তাইওয়ানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ফোনটি জুলাই মাসের ১৪ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে ভারতের বাজারে প্রবেশ করতে পারে। শক্তিশালী চিপসেট, বড় ব্যাটারি, এবং উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তির জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হয়ে উঠতে চলেছে মিড-রেঞ্জ সেগমেন্টে।
Vivo X200 FE-এর ডিজাইন ও ডিসপ্লে প্রিমিয়াম লুকের
Vivo X200 FE-তে 6.31 ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে যার রেজোলিউশন 2640×1216 পিক্সেল এবং 120Hz রিফ্রেশ রেট। ডিসপ্লে 460 PPI পিক্সেল ডেনসিটি সমৃদ্ধ, যা ব্যবহারকারীদের ঝকঝকে এবং মসৃণ ভিউয়িং এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করবে। ফোনটির গ্লাস ব্যাক ডিজাইন ও ১৮৬ গ্রাম ওজন একে হালকা এবং স্টাইলিশ করে তোলে। এটি চারটি আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাবে—মডার্ন ব্লু, লাইট হানি ইয়েলো, ফ্যাশন পিঙ্ক ও মিনিমালিস্ট ব্ল্যাক।
WhatsApp-এ এলো AI-চালিত চ্যাট ওয়ালপেপার ফিচার, এখন চ্যাটিং হবে আরও রঙিন ও মজাদার
Dimensity 9300+ প্রসেসরে চলবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স
এই ফোনে রয়েছে MediaTek Dimensity 9300+ চিপসেট, যা অত্যন্ত দ্রুতগতির পারফরম্যান্স অফার করে। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এতে থাকবে Android 15 ভিত্তিক Funtouch OS 15। ডিভাইসটিতে দেওয়া হয়েছে 12GB LPDDR5X RAM এবং 512GB UFS 3.1 স্টোরেজ, সঙ্গে অতিরিক্ত 12GB ভার্চুয়াল RAM-ও ব্যবহার করা যাবে, যা একাধিক অ্যাপ ব্যবহারের সময় কোনো ধরনের ল্যাগ ফিল করবে না।
ছবি তোলার জন্য Vivo X200 FE-তে থাকছে Zeiss-এর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। এতে ৫০ মেগাপিক্সেলের IMX921 প্রাইমারি সেন্সর, ৫০ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্স এবং ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা রয়েছে। ফ্রন্টে থাকছে একটি ৫০ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা, যা 4K রেজোলিউশনে 60fps পর্যন্ত ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম।
এই স্মার্টফোনে রয়েছে ৬৫০০mAh ক্ষমতার ব্যাটারি যা ৯০W আল্ট্রা ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে। চার্জিং পোর্ট হিসেবে থাকছে USB Type-C। ফোনে IP68 ও IP69 রেটিং থাকায় এটি জল এবং ধুলো থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। অন্যান্য ফিচারের মধ্যে থাকছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ডুয়েল সিম এবং eSIM সাপোর্ট, 5G কানেক্টিভিটি, ব্লুটুথ 5.4 এবং NFC সুবিধা।
প্রসঙ্গত, প্রিমিয়াম ফিচারস থাকা সত্ত্বেও Vivo X200 FE একটি প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বাজারে প্রবেশ করতে চলেছে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের বাজারে এই ফোনের প্রবেশ নিঃসন্দেহে মিড-রেঞ্জ সেগমেন্টে এক নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি করবে, বিশেষত যারা ক্যামেরা, পারফরম্যান্স এবং ব্যাটারি নিয়ে আপস করতে চান না, তাদের জন্য এটি হতে চলেছে এক আকর্ষণীয় পছন্দ।