বয়স ১৬-র কম? ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করলেই দিতে হবে মোটা জরিমানা

অস্ট্রেলিয়ার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত! সম্প্রতি সে দেশে একটি আইন পাস করা হয়েছে। এই আইনে ১৬ বছরের নীচে শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media)…

Australia imposes world-first ban on social media for children below 16 years

অস্ট্রেলিয়ার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত! সম্প্রতি সে দেশে একটি আইন পাস করা হয়েছে। এই আইনে ১৬ বছরের নীচে শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটি বিশ্বের প্রথম দেশ, যেখানে এত কঠোর আইন বলবৎ করা হয়েছে। শিশু মনে সোশ্যাল মিডিয়ার কুপ্রভাব যাতে না পড়ে সেজন্যই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এই আইন কার্যত বিশ্বের মধ্যে নজির সৃষ্টি করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

পেট্রল পাম্পে কাজ করতেন, বন্দুকবাজের গুলিতে শিকাগোতে প্রাণ হারালেন ভারতীয় ছাত্র

   

Social Media-র কুপ্রভাব

নতুন এই আইন অনুযায়ী, প্রধান সামাজিক মাধ্যমগুলি যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং স্ন্যাপচ্যাটে ১৬ বছরের নিচে শিশুদের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। খোলার চেষ্টা করলেই বাধা দেওয়া হবে। সামাজিক মাধ্যম সংস্থাগুলিকে বয়স যাচাইকরণে কঠোর ব্যবস্থা আনতে হবে, যাতে কম বয়সী শিশুদের অ্যাক্সেস সম্পূর্ণভাবে রোধ করা যায়।

উল্লেখ্য, আইনটি ২০২৫ সালের শুরু থেকে কার্যকর হবে। সামাজিক মাধ্যম (Social Media) কোম্পানিগুলোকে আইন মানার জন্য এক বছরের সময় দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সাল থেকে যারা এই নিয়ম মেনে চলবে না, তাদের বিরুদ্ধে বড় আর্থিক জরিমানা আরোপ করা হবে। এমনকি, আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে এই জরিমানা বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত হতে পারে।

নাম ভাড়িয়ে সেলিম থেকে রবি শর্মা, কলকাতায় গ্রেফতার বাংলাদেশি

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সংস্থাগুলিকে বয়স যাচাইকরণ প্রযুক্তি উন্নততরভাবে গড়ে তুলতে হবে। এই প্রযুক্তির মধ্যে থাকতে পারে ফেসিয়াল রিকগনিশন বা ডিজিটাল আইডি সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের বয়স নিশ্চিত করা হবে। তবে, এই ধরনের প্রযুক্তির বাস্তবায়ন মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

প্রসঙ্গত, এই আইন প্রণয়ন দীর্ঘ গবেষণার ফল। অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের উপর সামাজিক মাধ্যমের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সতর্ক করে আসছেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ফলে শিশু-কিশোরদের মধ্যে হতাশা, উদ্বেগ এবং ঘুমের সমস্যার মাত্রা বেড়েছে।

২০২৩ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ কিশোর তাদের অনলাইন অভিজ্ঞতার কারণে উদ্বেগ বা হতাশায় ভুগেছে। সাইবার বুলিং এবং বেশি সময় ধরে অনলাইন থাকা এই সমস্যাগুলোর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যাই হোক, অস্ট্রেলিয়ার এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত শিশুদের সুরক্ষায় একটি বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নতুন আইন সামাজিক মাধ্যমের (Social Media) নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করতে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।