আপনার স্মার্টফোনের আয়ু বাড়াতে অবলম্বন করুন এই পদ্ধতি

যেকোনো স্মার্টফোনের নির্ভর করে এটি যেভাবে ব্যবহার করা হয় যেমন সফটওয়্যার আপডেট, ব্যাটারি লাইফ এবং ফিজিক্যাল ডেমেজের ওপর। আইফোন, প্রিমিয়াম স্যামসাং মডেল এবং গুগল পিক্সেল…

Smartphone

যেকোনো স্মার্টফোনের নির্ভর করে এটি যেভাবে ব্যবহার করা হয় যেমন সফটওয়্যার আপডেট, ব্যাটারি লাইফ এবং ফিজিক্যাল ডেমেজের ওপর। আইফোন, প্রিমিয়াম স্যামসাং মডেল এবং গুগল পিক্সেল ফোনগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে সেগুলো ৪ থেকে ৫ বছর স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়। একই ভাবে, আপনি যদি একটু বেশি সতর্ক হন তবে আপনার ফোনটি ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে । দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করা শুধু খরচ বাঁচানোর জন্যই নয়, পরিবেশের জন্যও ভালো। এমতাবস্থায়, আপনি যদি চান আপনার স্মার্টফোন আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে সাপোর্ট করবে, তাহলে আপনাকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

আপডেট সফ্টওয়্যার
সময়ে সময়ে আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ আপডেট করতে থাকুন। নতুন আপডেটে প্রায়ই বাগ ফিক্স, নিরাপত্তা প্যাচ এবং কর্মক্ষমতার উন্নতি অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা আপনার ফোনকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

   

পরিচ্ছন্নতা এবং যত্ন
ফোনের স্ক্রিন এবং পোর্ট নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ধুলো এবং ময়লা ফোনের পোর্ট এবং স্পিকারের ক্ষতি করতে পারে। আপনি স্ক্রিন প্রটেক্টর এবং কেস ব্যবহার করতে পারেন যাতে ফোনে স্ক্র্যাচ এবং ছিঁড়ে যাওয়া এড়ানো যায়।

ব্যাটারি যত্ন
ভালো ব্যাটারি লাইফ বজায় রাখতে, ফোনটিকে সব সময় 100% চার্জে রাখবেন না। সঠিক চার্জিং পরিসীমা 20% থেকে 80% এর মধ্যে হওয়া উচিত। অতিরিক্ত চার্জিং ফোনের ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দেয়। উচ্চ তাপমাত্রাও ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে, তাই ফোনকে সূর্যের আলো বা গরম জায়গা থেকে দূরে রাখুন।

লঞ্চ করল QLED ডিসপ্লে সহ স্মার্ট টিভি, জানুন এর আকর্ষণীয় দাম সহ বৈশিষ্ট্য

স্টোরেজ স্পেসের যত্ন নিন
ফোনের স্টোরেজ ফ্রি রাখলে কর্মক্ষমতা উন্নত হয়। সময়ে সময়ে অবাঞ্ছিত অ্যাপ এবং ফাইল ডিলিট করুন। ক্লাউড স্টোরেজ বা এক্সটার্নাল স্টোরেজ ডিভাইস ব্যবহার করে ডিভাইসের স্টোরেজ পরিচালনা করতে পারেন।

ক্যাশে এবং অপ্রয়োজনীয় ডেটা মুছুন
সময়ে সময়ে অ্যাপের ক্যাশে পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে ফোনের পারফরম্যান্স ভালো থাকে। এটি ফোনের গতি বাড়ায় এবং লোডিং সময় কমিয়ে দেয়।

পাওয়ার-সেভিং মোড ব্যবহার
ফোনের ব্যাটারি কম হলে পাওয়ার-সেভিং মোড ব্যবহার করুন। এই বৈশিষ্ট্যটি ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে এবং ফোনে অপ্রয়োজনীয় লোড কমায়।

ফোনের পরিমিত ব্যবহার
দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করতে হলে তা পরিমিতভাবে ব্যবহার করুন। গেমিং, ভারী ভিডিও রেকর্ডিং এবং মাল্টিটাস্কিং ফোনের প্রসেসর এবং ব্যাটারির দ্রুত ক্ষতি করতে পারে। যদি আপনার ফোন পুরানো হয়, তাহলে ভারী অ্যাপ এবং গেম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এগুলো ফোনের প্রসেসরে অতিরিক্ত চাপ দিতে পারে, যা ডিভাইসের আয়ু কমিয়ে দেয়।

আপনার ফোনকে অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করুন
ফোনটি চার্জিং বা ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করা উচিত। অত্যধিক তাপ ফোনের ব্যাটারি এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যারকে প্রভাবিত করতে পারে। অনেক সময় নতুন ব্যাটারি দিয়ে ফোনের আয়ু বাড়ানো যায়।