18 বছরের নিচে শিশুদের স্মার্টফোনে থাকা উচিত নয়, যদি সেগুলি থাকে তাহলে অবিলম্বে মুছে ফেলুন

করোনা মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এনেছে।  এখন স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের সাহায্য ছাড়া অনলাইন ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত করা যায় না। এই কারণে পঞ্চম শ্রেণি থেকেই…

18 plus apps 1 18 বছরের নিচে শিশুদের স্মার্টফোনে থাকা উচিত নয়, যদি সেগুলি থাকে তাহলে অবিলম্বে মুছে ফেলুন

করোনা মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এনেছে।  এখন স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের সাহায্য ছাড়া অনলাইন ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত করা যায় না। এই কারণে পঞ্চম শ্রেণি থেকেই অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের স্মার্টফোন দিতে হয়।

ইন্টারনেট দুনিয়া জ্ঞান থেকে নোংরা সব কিছু দিয়ে পূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি আপনার 18 বছরের কম বয়সী সন্তানকে একটি স্মার্টফোন দিয়ে থাকেন, তবে আপনার একটু সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ এমন কিছু অ্যাপ রয়েছে যা শুধুমাত্র 18+ লোকের ব্যবহার করা উচিত। যদি এই অ্যাপগুলি আপনার বাচ্চাদের স্মার্টফোনে থাকে তবে আপনার উচিত অবিলম্বে সেগুলি মুছে ফেলা। এখানে আমরা আপনাকে এই 18+ অ্যাপ সম্পর্কে বলছি।

   

ডেটিং অ্যাপ অপ্রয়োজনীয়

গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোরে অনেক ডেটিং অ্যাপ পাওয়া যায়। এই অ্যাপগুলির বেশিরভাগই এআই ভিত্তিক এবং শিশুদের দ্রুত প্রভাবিত করে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি আপনার বাচ্চাদের স্মার্টফোনে টিন্ডার, বাম্বলের মতো ডেটিং অ্যাপ থাকে, তবে সেগুলি অবিলম্বে মুছে ফেলা উচিত। কারণ শিশুরা যদি এই অ্যাপগুলিতে আসক্ত হয়ে পড়ে তাহলে তারা পড়াশোনা ভুলে চ্যাটিং করতে থাকবে।

গেমিং অ্যাপ বিপজ্জনক

আজকাল, ইন্টারনেটে গেমিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন প্রচুর দেখা যাচ্ছে, এই অ্যাপগুলির দাবি যে আপনি যদি গেম খেলেন তবে আপনি শীঘ্রই কোটিপতি হয়ে যাবেন। শিশুরা প্রায়ই এই গেমিং অ্যাপের ফাঁদে পড়ে। যারা লেখাপড়া করতে গিয়ে বাবা মায়ের টাকা নষ্ট করে।

সামাজিক মিডিয়া অ্যাপস

আজকাল শিশুরা অল্প বয়সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। যার কারণে তাদের পড়ালেখায় সমস্যা হয়। যদি আপনার সন্তানের স্মার্টফোনে স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ থাকে, তাহলে আপনার উচিত অবিলম্বে সেগুলি মুছে ফেলা।

শিশুদের নিরাপত্তার জন্য, অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের ফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাদের ফোনে কোনো অনুপযুক্ত অ্যাপ নেই তা নিশ্চিত করা। এছাড়াও, শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে তাদের সচেতন করুন।