ভারতের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় (PMO) টেলিযোগাযোগ দপ্তরকে (DoT) একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করেছে। যার অধীনে এখন থেকে নতুন সিম কার্ড সংযোগ নেওয়ার জন্য আধার-ভিত্তিক (Aadhaar) বায়োমেট্রিক যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ভুয়ো নথি ব্যবহার করে নেওয়া মোবাইল সংযোগের অপব্যবহার রোধ করা। যা আর্থিক জালিয়াতি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যকলাপে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে জালিয়াতি কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন সিম কার্ডের জন্য বাধ্যতামূলক Aadhaar যাচাই
এর আগে, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট বা অন্য কোনো সরকারি পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নতুন সিম কার্ড নেওয়া যেত। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে শুধুমাত্র আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে সিম কার্ড সক্রিয় করা যাবে। বিক্রেতারা এই নিয়ম না মেনে সিম কার্ড বিক্রি করতে পারবে না।
টেলিযোগাযোগ খাতের সাম্প্রতিক পর্যালোচনা বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে যে ভুয়া নথি ব্যবহার করে একাধিক সিম কার্ড নেওয়া হচ্ছে, যা টেলিকম বিধির লঙ্ঘন এবং সাইবার অপরাধের সহায়ক।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় (PMO) নির্দেশ দিয়েছে যে, টেলিযোগাযোগ বিভাগ (DoT) আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির সাহায্যে অপরাধীদের চিহ্নিত ও শাস্তির আওতায় আনবে। যেসব বিক্রেতা ভুয়া নথি ব্যবহার করে সিম কার্ড দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নতুন নিয়মের লক্ষ্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করা। আধার-ভিত্তিক যাচাই বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে ভুয়া মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে সংঘটিত জালিয়াতি হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, সারা দেশে সিম কার্ড ইস্যু ও ট্র্যাকিংয়ের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হবে।
এই কঠোর নিয়ম টেলিকম খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি জোরালোভাবে তুলে ধরে। আধার-ভিত্তিক (Aadhaar) বায়োমেট্রিক যাচাই এখন নতুন সিম কার্ড গ্রহণের জন্য বাধ্যতামূলক, যা মোবাইল নেটওয়ার্ককে আরও সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।