স্যামসাং আনল Galaxy XR: অ্যান্ড্রয়েড XR চালিত ভবিষ্যতের হেডসেট

Samsung introduces Galaxy XR, the first-ever device powered by Android XR with built-in Gemini AI. Features include natural navigation, Circle to Search, 3D memories, immersive entertainment, and an infinite workspace

সিওল, ২৩ অক্টোবর: প্রযুক্তি দুনিয়ায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল স্যামসাং (Samsung)। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হল Galaxy XR, যা অ্যান্ড্রয়েডের নতুন অপারেটিং সিস্টেম Android XR-এ চালিত বিশ্বের প্রথম ডিভাইস। স্যামসাংয়ের এই হেডসেট/গ্লাস কেবল ভিআর হেডসেট নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি (XR) ডিভাইস, যেখানে গুগলের Gemini AI সরাসরি বিল্ট-ইন রয়েছে।  

Advertisements

স্যামসাংয়ের মতে, Galaxy XR কেবল বিনোদনের জন্য নয়, বরং কাজ, যোগাযোগ এবং সৃজনশীলতার জন্যও এক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

নতুন ফিচারসমূহ

স্যামসাং যে কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছে, সেগুলো হলোঃ

  1. ন্যাচারাল নেভিগেশন – ব্যবহারকারীরা কেবল চোখ, হাত এবং কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে ইন্টারফেসে নেভিগেট করতে পারবেন। আলাদা কন্ট্রোলারের প্রয়োজন হবে না।
  2. Circle to Search – আপনি যা দেখছেন, সেটিকে এক ক্লিকে (বা সার্কেল করে) খুঁজে পাওয়া যাবে।
  3. 3D অভিজ্ঞতা – সাধারণ ছবি ও ভিডিওকে থ্রিডি অভিজ্ঞতায় রূপান্তর করে স্মৃতির ভেতরে প্রবেশ করার মতো অভিজ্ঞতা দেবে।
  4. এন্টারটেইনমেন্ট – সিনেমা, গেম বা লাইভ ইভেন্টে ডুবে যাওয়ার মতো ইমার্সিভ এন্টারটেইনমেন্ট অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।
  5. ইনফিনিট ওয়ার্কস্পেস – অসীম পরিসরে একসঙ্গে একাধিক কাজ করা যাবে। যেমন ভিডিও কলে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ডকুমেন্ট লেখা বা ব্রাউজিং।

কেন গুরুত্বপূর্ণ?

গুগল সম্প্রতি ঘোষণা করেছিল, অ্যান্ড্রয়েড XR হবে নেক্সট-জেনারেশন হেডসেট ও গ্লাসের জন্য তৈরি বিশেষ অপারেটিং সিস্টেম। সেই OS-এর ওপর তৈরি হওয়া প্রথম ডিভাইস হলো Samsung Galaxy XR।

Advertisements

এছাড়া, Gemini AI ইন্টিগ্রেশনের ফলে ব্যবহারকারীরা কেবল ডিভাইসের ভেতরেই নয়, বরং বাস্তব জগতের সঙ্গেও এক ধরণের মিশ্র অভিজ্ঞতা (Mixed Reality) উপভোগ করতে পারবেন। এটি ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবনকে স্মার্ট করে তোলার পাশাপাশি নতুন সম্ভাবনার দিক উন্মোচন করবে।

ভবিষ্যতের ব্যবহার ক্ষেত্র

  • শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: শিক্ষার্থীরা লাইভ 3D মডেল বা ইন্টারেক্টিভ ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট দিয়ে শিখতে পারবে।
  • স্বাস্থ্য: সার্জারি বা চিকিৎসা প্রশিক্ষণে এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
  • কাজের জগৎ: ভার্চুয়াল মিটিং, সহযোগিতা ও ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট এক নতুন রূপ নেবে।
  • গেমিং ও এন্টারটেইনমেন্ট: XR অভিজ্ঞতা গেমার ও কনটেন্ট ভোক্তাদের জন্য আলাদা দুনিয়া তৈরি করবে।

স্যামসাং ও গুগলের এই যৌথ প্রচেষ্টা XR প্রযুক্তিকে মূলধারায় নিয়ে আসবে বলে আশা করছে বিশেষজ্ঞরা। গ্যালাক্সি XR শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং আগামী দিনের কাজ, শেখা এবং সামাজিক যোগাযোগের পদ্ধতিকে আমূল বদলে দিতে পারে।