রাতের আঁধারেও এখন মিলবে দিনের মতো সূর্যের আলো। হ্যাঁ, কাল্পনিক মনে হলেও এটাই সত্যি। এবার সেই কল্পনাকেই বাস্তবে রূপান্তরিত করতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। ক্যালিফোর্নিয়া (California) ভিত্তিক স্টার্টআপ রিফ্লেক্ট অরবিটাল (Reflect Orbital) সম্প্রতি এমন একটি বৈপ্লবিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে যা বিশ্বের জ্বালানি খাতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। তারা দাবি করছে, রাতের বেলাতেও পৃথিবীর পৃষ্ঠে সূর্যের আলো পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে “সূর্যের আলো বিক্রি” (Sunlight sale) করার নতুন যুগ শুরু করতে যাচ্ছে। এই প্রযুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো, দিন-রাতের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ তৈরি করা।
Jio এবং Airtel গ্রাহকদের জন্য Netflix সাবস্ক্রিপশন ফ্রি! এই প্ল্যানগুলি তাজ্জব করবে!
রিফ্লেক্ট অরবিটালের সিইও ও প্রকল্পের প্রবর্তক বেন নওয়্যাক এপ্রিল মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এনার্জি ফ্রম স্পেস-এ এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তার মতে, মহাকাশ থেকে সূর্যের আলো পৃথিবীর নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিফলিত করার মাধ্যমে রাতের বেলাতেও সৌর প্যানেলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এই প্রকল্পের জন্য অত্যাধুনিক মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যা পৃথিবীর পৃষ্ঠে আলোকে প্রতিফলিত করতে সক্ষম।
১৫ হাজারের কমে কার্ভ AMOLED ডিসপ্লে ফোন, অফার সীমিত সময়ের
রিফ্লেক্ট অরবিটালের পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বিশেষ প্রতিফলক স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে স্থাপন করা হবে, যা সূর্যের আলো ধরে তা নির্দিষ্ট কোণ থেকে পৃথিবীর সৌর প্যানেলে প্রতিফলিত করবে। এর ফলে, রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নতুন উৎস তৈরি হবে।
বেন নওয়্যাক জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের সময় ও স্থান নির্ধারণ করা যাবে। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর যেখানে রাত, সেখানকার সৌর প্যানেলগুলো আলো পাবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হবে।
সুপরিকল্পিত সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে, প্রাণ বাঁচাতে মোদীর হস্তক্ষেপ চায় বাংলাদেশি হিন্দুরা
যদিও এই প্রকল্পটি অনেক প্রতিশ্রুতিশীল, তবে এর বাস্তবায়ন সহজ নয়। মহাকাশে প্রতিফলক স্থাপনের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে ওঠাই হবে প্রধান বাধা। এছাড়া, মহাকাশে স্থাপন করা স্যাটেলাইটগুলো থেকে পৃথিবীতে আলো প্রতিফলিত করার সঠিক উপায় বের করাও একটি জটিল বিষয়।
তবুও, বেন নওয়্যাক এবং তার দল আত্মবিশ্বাসী। তাদের মতে, এই প্রযুক্তি শুধুমাত্র জ্বালানির চাহিদা মেটাবেই না, বরং বৈশ্বিক জ্বালানি ব্যবস্থার একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।