Monday, October 13, 2025
HomeBharatরবিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ...

রবিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাজ্যে

গুয়াহাটি: অসম (Assam) রাজ্যে সরকারি নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ (Mobile internet suspension) রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, আসন্ন পরীক্ষাগুলির সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ পরিচালনা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে আগামী রবিবার, সকাল ৮:৩০ থেকে বিকেল ৪:০০ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।

   
Advertisements

জানা গেছে, অসমের সরকারি নিয়োগ পরীক্ষাগুলির সঙ্গে অসংখ্য প্রার্থী এবং পরীক্ষা কেন্দ্র যুক্ত থাকায় পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র ফাঁস বা কোনওরকম দুর্নীতি রুখতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অসম সরকারের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া বজায় রাখতে এবং কোনওরকম অনিয়ম এড়াতে তারা সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা পরিচালনা করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। সেই অনুযায়ীই এই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সাইবার অপরাধ এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা এড়াতেই প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisements

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, এই ধরনের পদক্ষেপ নতুন কিছু নয় এবং দেশের অনেক রাজ্যে এই ধরনের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের নিরাপত্তা এবং প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা রক্ষার্থে এমন ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কোনও প্রকার প্রভাব ছাড়া আমরা যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করতে চাই। পরীক্ষাগুলির নির্ভরযোগ্যতা এবং প্রার্থীদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

তবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ মানুষ এবং প্রার্থীদের মধ্যে কিছু অসুবিধার সৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে যারা মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি আরও প্রকট হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া ইন্টারনেট বন্ধ থাকার সময়ে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।

অসমের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সেখানে অনেকেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে অনেকে আবার জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা আরও পরিকল্পিতভাবে নেওয়া যেত, যাতে পরীক্ষার সময় বাদে অন্যান্য সময়ে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু রাখা যায়।

এই প্রসঙ্গে প্রার্থী সংস্থাগুলি, মানবাধিকার কর্মী এবং বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন এবং এই সাময়িক অসুবিধা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।

Latest News