আগামী বছরে চাঁদে চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর প্রস্ততি নিচ্ছে ইসরো। তার আগেই সাফল্যের মুখ দেখল চন্দ্রযান-২। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) নিজেদের যন্ত্র চাঁদে হাইড্রক্সিল () এবং জলের অণুর (এইচ ২ ও) উপস্থিতি শনাক্ত করেছে। কারেন্ট সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী,ইমেজিং ইনফ্রারেড স্পেকট্রোমিটারের (আইআইআরএস) সাহায্যে মহাকাশযান হাইড্রক্সিল এবং জলের অণুর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। ০.৮-৩ রেঞ্জের মাইক্রোমিটারের সাহায্যে স্পেকট্রোমিটার সফলভাবে দুটি অনুর উপস্থিতি আলাদা আলাদাভাবে শনাক্ত করতে।
চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রাপ্ত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বর্ণালী থেকে ইসরোর আহমেদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (এসএসি) ইমেজিং ইনফ্রারেড স্পেকট্রোমিটার (আইআইআরএস) দ্বারা তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই তথ্য থেকেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, “The initial data analysis from IIRS clearly demonstrates the presence of widespread lunar hydration and unambiguous detection of OH and H2O signatures on the Moon between 29 degrees north and 62 degrees north latitude”. অর্থাৎ স্পেকট্রোমিটারের প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ স্পষ্টভাবে দেখায় যে, ২৯ ডিগ্রী এবং ৬২ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে OH (হাইড্রক্সিল) এবং H2O (জল) অনুর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।”
ইসরোর বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, “বর্ণালী বিশ্লেষণের মাধ্যমে হাইড্রেশন ফিচারের সঠিক ব্যাখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ। এটি খনিজ উপাদান, তার রাসায়নিক গঠন, রিওলজি এবং সৌর-বায়ু মিথস্ক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যান্টলের ভূতত্ত্ব এবং ভূ-পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। OH (হাইড্রক্সিল) এবং H2O (জল) অনুর উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় চাঁদের এক্সোজেনাস এবং এন্ডোজেনাস অরিজিন এবং হাইড্রক্সিল/H2O ও প্রোডাকশন মেকানিজমকে বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।”
আরও পড়ুন টেক-বাজারে এল LAVA Z2S স্মার্টফোন, রইল বাজেট ফ্রেন্ডলি এই ফোনের একাধিক ফিচার
২৩ জুলাই, ২০১৯ সালে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ স্টেশন থেকে চন্দ্রযান-২ এর উতক্ষেপন করা হয়। এখনও পর্যন্ত যতগুলো চন্দ্রযান চাঁদে গেছে, সেগুলোর বেশির ভাগই চাঁদের উত্তর মেরুতে অবতরণ করেছে। তবে চন্দ্রযান-২ প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে।