বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন সকলেরই হাতের মুঠোয়। সকাল থেকে রাত সারাদিন চলার পথে এই ফোনই সমস্ত কাজকর্মের সঙ্গী। কিশোর থেকে প্রবীণ কেউই যেন বাদ যাননি এই ফোন কিনতে। পড়াশোনা থেকে অফিস, শপিং থেকে যোগাযোগ সবটাই মিলেমিশে রয়েছে মোবাইল ফোনে। ইতিমধ্যেই বাজারে উপলব্ধ রয়েছে একাধিক কোম্পানীর বিভিন্ন ফোন। কম দাম থেকে শুরু করে নামী-দামী সমস্ত ফোনই এখন প্রতিটি মানুষের হাতে।
এবার চলতি বছরেই বাজার কাঁপাতে আসছে একগুচ্ছ ফ্লোডিং স্মার্টফোন (folding smartphone)। দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং এবং চিনা সংস্থা ভিভো ফ্লোডিং স্মার্টফোন আনতে চলেছে বাজারে। এই ফোনগুলি যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনি থাকছে এর স্টোরেজ সিস্টেম।
জানা যাচ্ছে, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে দু’টি ফোল্ডিং স্মার্টফোন বাজারে আনার কথা রয়েছে স্যামসাংয়ের। সেগুলি হল, জ়েড ফ্লিপ ৭ এবং জ়েড ফোল্ড ৭। এ ছাড়া প্রথম ফোনটির লাইটার ভার্সানও গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বহুজাতিক দক্ষিণ কোরীয় বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার। পাশাপাশি ওয়াচ ৮ এবং ওয়াচ ৮ ক্লাসিক লঞ্চ করার কথা রয়েছে তাদের।
অন্যদিকে, চিনা কোম্পানী ভিভো যে স্মার্টফোনটি লঞ্চ করতে চলেছে তার নাম এক্স ফোল্ড ফাইভ। চিনা সংস্থাটির দাবি, সংশ্লিষ্ট মুঠোফোনটি ভাঁজ করলে সেটা আইফোনের থেকেও পাতলা হয়ে যাবে। এতে থাকছে তিনটে ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। পাশাপাশি ৫০ মেগাপিক্সেলের পেরিস্কোপিক জুম লেন্স পাবেন গ্রাহক।
ফোল্ডিং স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, এর ব্যাটারি খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তাহলে এক্ষেত্রেও কী তাই হবে? এই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে জানা যাচ্ছে, ভাঁজ করা মুঠোফোন তৈরির সময়ে এ দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে তারা। এক্স ফোল্ড ফাইভে থাকছে ৬,০০০ এমএইচ ব্যাটারি। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে এটি স্যামস্যাংকে টেক্কা দিতে পারে বলেও মনে করছেন একাংশ।
অন্যদিকে, বহুজাতিক জাপানি সংস্থা সোনি স্মার্টফোনব্যবসা থেকে ধীরে ধীরে কিছুটা সরে দাঁড়াচ্ছে। তাদের এক্সপেরিয়া সিরিজের নতুন যে ফোনটির বাজারে আসার কথা রয়েছে, সেটিকে তৈরির দায়িত্ব অন্য একটি সংস্থার হাতে তারা তুলে দিয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি, তাইল্যান্ড এবং চিনের স্মার্টফোনের ইউনিট বন্ধ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট জাপানি কোম্পানিটি।