Earphone Side Effects: ইয়ারফোন ব্যবহারের পর কান পরিষ্কার করুন। ইয়ারফোনগুলি শ্রবণশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি এগুলি দীর্ঘ সময় ধরে এবং উচ্চ শব্দে ব্যবহার করেন। ইয়ারফোনে আপনি যত জোরে গান শুনবেন, ইয়ারফোন শ্রবণশক্তিকে তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আপনিও যদি গত 8 থেকে 10 বছর ধরে ইয়ারফোন ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনার সাবধান হওয়া উচিত। কারণ খেয়াল করলে দেখবেন যে আপনার শ্রবণ ক্ষমতা আগের থেকে কম হয়ে গিয়েছে, কারণ আপনি এটি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না।
অনুষ্ঠানগুলোতে উচ্চস্বরে ডিজে বাজানো হয়। 60 ডেসিবেলের বেশি শব্দ ক্ষতিকর। ক্রমাগত 70 থেকে 80 ডেসিবেলের মধ্যে শব্দের এক্সপোজার বধিরতা সৃষ্টি করে। 90 ডেসিবেলের উপরে 20 মিনিটের জন্য এমনকি মাসে 20 বার শব্দ শোনার ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। যদি শ্রবণশক্তি হ্রাসের চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি স্থায়ী অসুস্থতার কারণ হতে পারে। কানে শব্দ হয় (টিনিটাস)। বিরক্তি, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং বিষণ্নতা হতে পারে। ব্যক্তিরা উচ্চ রক্তচাপের শিকারও হতে পারেন।
ইয়ারফোন থেকে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক ওয়েভের কারণে এই ক্ষতি হয়
ইয়ারফোন থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গও মাথাব্যথা এবং অনিদ্রার কারণ হয়। এ কারণে শিশুদের শেখার ক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে তার পড়ার ক্ষমতা এবং জিনিস বোঝার ক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।
এই বিষয়গুলোকে অবহেলা করবেন না
কান পরিষ্কার করা: ইয়ারফোন ব্যবহারের পর কান পরিষ্কার করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ: আপনার যদি কানে ব্যথা, চুলকানি বা শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে ইয়ারফোনের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস ধীরে ধীরে ঘটে এবং প্রাথমিক কোনো লক্ষণ নেই। অতএব, ইয়ারফোন ব্যবহার করার সময় আপনার সতর্কতা অবলম্বন করা এবং নিয়মিত আপনার শ্রবণশক্তি পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।