নয়াদিল্লি: আজকাল সিবিল স্কোরের গুরুত্ব প্রায় সকলেরই জানা। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে সিবিল স্কোর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিবিল স্কোর যদি খারাপ থাকে, তবে সাধারণত ব্যাংক ঋণ দিতে অস্বীকার করে। তবে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে এখন খারাপ সিবিল স্কোর থাকা সত্ত্বেও ঋণ দেওয়া সম্ভব। আসুন, জানি সুপ্রিম কোর্ট কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এর প্রভাব কী হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত কী ছিল?
সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সিবিল স্কোরের ভিত্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সিবিল স্কোরকে অযৌক্তিক বাধা হিসেবে রাখা যাবে না। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, শিক্ষাঋণের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সহায়তা করা, তাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করে তোলা নয়। অর্থাৎ, যদি কোনো শিক্ষার্থীর সিবিল স্কোর খারাপও থাকে, তবুও ব্যাংক তাকে শিক্ষাঋণ দিতে বাধ্য হবে।
শিক্ষাঋণের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কীভাবে প্রভাব ফেলবে?
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় সহায়তা করা, এবং তারা যাতে শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ঋণ পেতে পারেন। যদিও এই রায় শুধু শিক্ষাঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তবে ভবিষ্যতে অন্যান্য ঋণ—যেমন হোম লোন, গাড়ি লোন, পার্সোনাল লোন ইত্যাদি—এর ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে। যদি ব্যাংকগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করে, তবে সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তীতে অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রেও এমন রায় দিতে পারে।
শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ
এই রায় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুবিধা এনে দিয়েছে, কারণ খারাপ সিবিল স্কোরের কারণে তাদের শিক্ষাঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যে বাধা ছিল, তা এখন দূর হলো। এখন তারা আরও সহজে ঋণ পেয়ে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা। এটি নিশ্চিতভাবে তাদের পড়াশোনার পথ মসৃণ করবে এবং আর্থিক বাধা দূর করবে।