সরকার ২০২৪-২৫ মরসুমে (সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ১০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে, যার লক্ষ্য দেশের অভ্যন্তরীণ চিনির মূল্য স্থিতিশীল করা। খাদ্য মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
খাদ্য মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন এই পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে ৫ কোটি কৃষক এবং ৫ লাখ শ্রমিকের পরিবার উপকৃত হবে। একই সঙ্গে চিনির মিলগুলোর তরলতা বৃদ্ধি পাবে । এবং উৎপাদকদের সময়মতো অর্থপ্রদান নিশ্চিত হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বলা হয়েছে, নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী সমস্ত ধরনের চিনি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। যার মধ্যে নতুন মিলগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মিলগুলোর কাছে মার্চের ৩১ তারিখ পর্যন্ত কোটা জমা দেওয়ার অথবা তা স্থানীয় কোটা সঙ্গে বিনিময় করার সুযোগ থাকবে। যাতে পরিবহন খরচ কমানো যায়। এছাড়া নতুন নীতি অনুসারে রপ্তানি কোটা এবং মাসিক অভ্যন্তরীণ চিনি সরবরাহ কোটা বিনিময়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
অগ্রিম অনুমোদন স্কিমের অধীনে রপ্তানি পূর্ববর্তী বিধি অনুসারে চলতে থাকবে। এই সিদ্ধান্তটি ১৮ মাসের মধ্যে চিনির মূল্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছানোর পর নেওয়া হয়েছে, যার ফলে মিলগুলোর লাভ মার্জিন চাপের মধ্যে রয়েছে।
২০২৪-২৫ মরসুমে ভারতের চিনি উৎপাদন ২৭ মেট্রিক টনে কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা গত মৌসুমের থেকে কম। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ২৯ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে কম হবে।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৩.০৬ টন, যা গত বছরের তুলনায় ১৩.৬৬ শতাংশ কম, মূলত মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং উত্তর প্রদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে চিনি উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে। এই তথ্য দিয়েছে জাতীয় ফেডারেশন অফ কোঅপারেটিভ সুগার ফ্যাক্টরিজ।