HomeBusinessআইএমএফ-এর রিপোর্টে ভারতের প্রশংসা, ‘সি’ গ্রেডের ব্যাখ্যা দিলেন অর্থমন্ত্রী

আইএমএফ-এর রিপোর্টে ভারতের প্রশংসা, ‘সি’ গ্রেডের ব্যাখ্যা দিলেন অর্থমন্ত্রী

- Advertisement -

বুধবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ভারতীয় অর্থনীতির সুস্থ প্রবৃদ্ধিকে ইতিবাচকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হিসাব নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেনি। তিনি জানান, ‘সি’ গ্রেড দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র জাতীয় হিসাব তৈরির ভিত্তি বছরের পুরনো হওয়ার কারণে।

পুরনো ভিত্তি বছর বদলে নতুন বেস পিরিয়ড ২০২২-২৩:

সীতারামন জানান যে বর্তমান হিসাব ২০১১-১২ ভিত্তি বছরে তৈরি হওয়ায় আইএমএফ এটিকে পুরনো বলে চিহ্নিত করেছে। কিন্তু কেন্দ্র ইতিমধ্যেই এই ত্রুটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় হিসাব তৈরির জন্য নতুন ভিত্তি বছর ২০২২-২৩ কার্যকর হবে। এতে তথ্য আরও বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী হবে।

   

সুপ্রিয়া সুলে-র প্রশ্নের জবাব: Sitharaman Clarifies IMF C Grade

লোকসভায় এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে আইএমএফ-এর এই গ্রেডিং নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার উত্তরে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী বলেন যে এই গ্রেডিং ডেটার গুণমান নয়, বরং পুরনো ভিত্তি বছর ব্যবহারের জন্য করা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন—আইএমএফ ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলে নি।

অর্থনীতির স্থিতি, প্রবৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি:

আইএমএফ-এর রিপোর্টে ভারতীয় অর্থনীতির শক্ত ভিত্তি, বেসরকারি খাতের বিকাশ, এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ হতে পারে।
এছাড়া মুদ্রাস্ফীতির হারও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্ধারিত সীমার নিচে, যা এই বছরে গড়ে ৪.৩ শতাংশ থাকবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

গ্রেডিং নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি দূর করলেন সীতারামন:

তিনি পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেন—‘সি’ গ্রেড কেবলমাত্র পুরনো ভিত্তি বছরজনিত সীমাবদ্ধতার জন্যই দেওয়া হয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি বা অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। তিনি বলেন—“সবকিছু শুধু ডেটা সংগ্রহ ও পুরনো বেস ইয়ার ব্যবহারের কারণে হয়েছে।”

বাকি সব ক্ষেত্রে ‘বি’ রেটিং, ভারতের অবস্থান উন্নয়নশীল দেশের সমতুল্য:

মুদ্রাস্ফীতি, বহির্বাণিজ্য তথ্য, আর্থিক ও ব্যাংকিং পরিসংখ্যান—সব ক্ষেত্রেই ভারত ‘বি’ গ্রেড পেয়েছে। ফলে ভারতের গড় গ্রেডও ‘বি’, যা চীন, ব্রাজিলসহ বহু উন্নয়নশীল দেশের সমান।

আইএমএফ গ্রেড কী বোঝায়?

আইএমএফ চার ধরণের গ্রেড দেয়—‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’।
‘এ’ – পর্যবেক্ষণের জন্য পরিপূর্ণ
‘বি’ – কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও যথেষ্ট
‘সি’ – সীমাবদ্ধতার কারণে পর্যবেক্ষণে বাধা
‘ডি’ – গুরুতর ত্রুটি যার ফলে পর্যবেক্ষণে সমস্যা

শেষ কথা:

সার্বিকভাবে, অর্থমন্ত্রীর দাবি—ভারতের অর্থনীতি শক্তিশালী পথেই এগোচ্ছে এবং আইএমএফ-এর রিপোর্টও তা স্বীকার করেছে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular