ফেড রেট কাটের পর ধাক্কা ভারতীয় বাজারে, সেনসেক্সে বড় পতন

Sensex Nifty Plunge Fed Rate Cut

বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধস দেখা গেল। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (BSE) বেঞ্চমার্ক সূচক সেনসেক্স প্রায় ৬০০ পয়েন্ট পড়ে ৮৪,৪০০-এর সামান্য ওপরে বন্ধ হয়েছে, আর নিফটি ৫০ সূচক ১৭০ পয়েন্টের বেশি পড়ে দিনের শেষে ২৫,৮৭৭.৮৫-এ স্থির হয়েছে। দুপুর ৩:৩০ নাগাদ বাজার বন্ধের সময় এই পতন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে।

Advertisements

দিনের শুরু থেকেই বাজারে দুর্বলতা লক্ষ্য করা যায়। সকালে সেনসেক্স ৮৪,৭৬৯.৬২ স্তরে লেনদেন শুরু করে প্রায় ২০০ পয়েন্ট নিচে, এবং নিফটি প্রায় ৫০ পয়েন্ট পতন নিয়ে ২৬,০০০ স্তর স্পর্শ করে। সারাদিন জুড়ে ওঠানামার পর বাজার শেষ পর্যন্ত বড় পতনেই শেষ হয়।

   

কোন শেয়ার উঠল, কোনটি নামল?

৩০-শেয়ার বিশিষ্ট সেনসেক্সে আজ লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (L&T), ভারত ইলেকট্রনিক্স, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, মারুতি সুজুকি ও আদানি পোর্টস ছিল শীর্ষ গেইনারদের মধ্যে। অন্যদিকে আইসিআইসিআই ব্যাংক, এইচসিএল টেক, টাটা স্টিল, কোটাক ব্যাংক ও ইটারনাল-এর মতো শেয়ারগুলিতে বড় পতন দেখা যায়।

এনএসই-র (NSE) নিফটি ১০০ সূচক প্রায় ০.৬০ শতাংশ নেমেছে, যদিও নিফটি মিডক্যাপ ৫০ সূচক সামান্য ০.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেক্টরভিত্তিকভাবে ব্যাংকিং, আইটি ও মেটাল শেয়ারগুলিতে বিক্রির চাপ বেশি ছিল।

পতনের কারণ কী? Sensex Nifty Plunge Fed Rate Cut

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃহস্পতিবারের এই পতনের মূল কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারে ২৫ বেসিস পয়েন্ট কাটছাঁট। যদিও এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত ছিল, তবুও ভবিষ্যৎ সুদের হারের দিক নিয়ে অনিশ্চয়তা বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

Advertisements

জিওজিত ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের চিফ ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট ভি কে বিজয়কুমার বলেন, “মার্কিন ফেডের সিদ্ধান্ত প্রত্যাশিত হলেও, ভবিষ্যতের পথ পরিষ্কার নয়। এখন বাজারের নজর ট্রাম্প-জি শি সম্মেলনের দিকে।”

এছাড়া বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (FIIs) বুধবার প্রায় ২,৫৪০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে, যা বাজারে চাপ বাড়িয়েছে।

মেহতা লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রাশান্ত তাপসে বলেন, “ফেড চেয়ার পাওয়েলের বক্তব্যে ডিসেম্বর মাসে আরও সুদ কমার সম্ভাবনা কমে গেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোবল দুর্বল করেছে। মার্কিন বাজারের মিশ্র পারফরম্যান্সও আজকের দুর্বলতার একটি কারণ।”

শেষ কথা:

সার্বিকভাবে, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও বিদেশি তহবিলের বহিঃপ্রবাহে ভারতের শেয়ারবাজার আপাতত চাপের মুখে রয়েছে।