ভারতীয় শেয়ারবাজারে ধস, সেনসেক্স–নিফটি উভয়েই নিম্নমুখী

Sensex Nifty closes lower

ভারতীয় শেয়ারবাজারে মঙ্গলবারের লেনদেন লাল চিহ্নে শেষ হয়েছে। দিনভর ওঠা–নামার পর দুই বেঞ্চমার্ক সূচকই শেষ পর্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়ে। বিএসই সেনসেক্স ৩০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে ৮৪,৬০০–র নিচে নেমে যায়, অন্যদিকে এনএসই নিফটি৫০ প্রায় ১০০ পয়েন্ট খুইয়ে ২৫,৮৬১–এ দিন শেষ করে।

Advertisements

দুর্বল সূচনার ইঙ্গিতেই শুরু দিনের অস্থিরতা:

দিনের শুরু থেকেই বাজারে ছিল এক ধরনের অনিশ্চয়তার পরিবেশ। প্রথম দিকেই সেনসেক্স ৮৪,৮০০–র কাছাকাছি খুলে ৮১ পয়েন্ট নেমে যায়। নিফটিও ২৫,৯৫০–এর নিচে খুলে সকাল ৯:১৫-এর মধ্যে প্রায় ২০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে গিফট নিফটি কিছুটা ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়, যা বাজারে আশার আলো জাগিয়ে রাখে যে দিনের বাকি সময়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে।

   

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রি, দেশীয় বিনিয়োগকারীদের ভরসা: Sensex Nifty closes lower

বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (FII) ভারতীয় বাজারে তাদের শেয়ার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। সোমবার তারা প্রায় ৪,১৭১.৭৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। এর বিপরীতে, দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (DII) ৪,৫১২.৮৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনে, যা বাজারে স্থিতি ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

জিওজিত ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর চিফ ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট ভি কে বিজয়কুমার বলেন, নিফটি সেপ্টেম্বর ২০২৪–এর শিখর ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করছে বটে, কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তীব্র বিক্রি এই উত্থানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

Advertisements

গ্লোবাল সেন্টিমেন্ট ও এশিয়ার দ্রুতগতি:

মঙ্গলবার এশিয়ার বাজারে ছিল সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক মনোভাব। মার্কিন বাজারে রাতারাতি তীব্র উত্থান এশিয়ার সূচকগুলিকে কিছুটা সহায়তা করে, যদিও ভারতীয় বাজার সেই আশাবাদ ধরে রাখতে পারেনি।

সোমবারের বড় পতনের রেশ:

সোমবার সারাদিন বাজার ভালোই চললেও শেষ ঘণ্টায় আচমকা বিপর্যয় নেমে আসে। সেনসেক্স ৩৩১.২১ পয়েন্ট বা ০.৩৯% কমে ৮৫,০০০–র নিচে ৮৪,৯০০.৭১–এ বন্ধ হয়। নিফটিও ১০৮.৬৫ পয়েন্ট বা ০.৪২% পড়ে ২৫,৯৫৯.৫০–এ নেমে আসে।

শেষ কথা:

টানা বিদেশি বিক্রি, মিশ্র বৈশ্বিক সংকেত এবং উচ্চতর স্তরে লাভ তুলে নেওয়ার প্রবণতা—সব মিলিয়ে বাজারে চাপ তৈরি হয়েছে। যদিও দেশীয় বিনিয়োগকারীরা সাপোর্ট দিচ্ছেন, তবে বাজারে স্থিতি ফিরতে হলে বিদেশি প্রবাহের উন্নতি এবং গ্লোবাল সেন্টিমেন্ট স্থিতিশীল হওয়া জরুরি।