বয়কট উপেক্ষা করে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রিয় গন্তব্য ভারত

বাংলাদেশের বয়কট ভারত আন্দোলনের (Boycott India Movement) মাঝেই প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রিয় ঠিকানা ভারত। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের মোট বিনিয়োগের ৭০ শতাংশই এসেছে…

PM Modi discusses Bangladeshi PM Sheikh Hasina

বাংলাদেশের বয়কট ভারত আন্দোলনের (Boycott India Movement) মাঝেই প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের প্রিয় ঠিকানা ভারত। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের মোট বিনিয়োগের ৭০ শতাংশই এসেছে ভারতে।

বাংলাদেশের তিন দিকে ঘেরা ভারত। দক্ষিণ-পশ্চিমে কিছুটা সীমানা মায়ানমারের সঙ্গে। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। এই ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই ভারতের প্রতি অনেকাংশে নির্ভরশীল বাংলাদেশ। ভারতীয় পণ্যের বড় বাজার রয়েছে বাংলাদেশে। রাজনৈতিক স্বার্থে সেখানকার অনেকে ভারত বিরোধী আন্দোলন চালাচ্ছে। ইতিবাচক এবং নেতিবাচক নানা প্রতিক্রিয়াও পড়েছে। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি তাঁরা সঠিক পথেই এগোচ্ছেন।

   

এরই মাঝে প্রকাশ্যে বাংলাদেশের বিনিয়োগের তথ্য। যা দেখে আন্দোলনকারীদের চোখ কপালে উঠছে। বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতে প্রায় ২ কোটি ১১ লক্ষ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। অনেকে লাভও তুলতে শুরু করেছেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পেও বাংলাদেশের অনেকে বিনিয়োগ করেছেন। সেই প্রকল্পগুলিও চলছে।

ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশের একাংশে ভারত বিদ্বেষ ছিলই। তাহলে এই বিপুল বিনিয়োগ কেন? বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাংক। ভারতে ব্যবসার পরিবেশ অনুকূল। কম খরচে কর্মী পাওয়া যায়। তাই ব্যবসার খরচও অনেক কম। তাই বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে ভারত।

এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান এই বাণিজ্যিক সুসম্পর্কের বড় কারণ। এমনই দাবি করেছে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাংক। তাদের মতে, বাংলাদেশের বিনিয়োগের বেশিরভাগই হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। ভারতের এই অংশের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংাজিক এবং সাংস্কৃতিক মিল রয়েছে। অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যে বাংলাদেশের পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সেখানে রফতানি করতে নানা ঝক্কি পোহাতে হয়। তাই বাংলাদেশের বহু সংস্থা সরাসরি ওই রাজ্যগুলিতেই বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে।

উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে নানা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। শিলিগুড়ি করিডর হয়ে মেঘালয় কিংবা ত্রিপুরা পৌঁছতে পরিবহণ ব্যয় অনেক বেশি হয়। তাই পণ্যের দামও বেড়ে যায়। সেই তুলনায় বাংলাদেশের সামগ্রী ওই রাজ্যগুলিতে অনেক কম খরচে পাঠানো যায়। কিন্তু রফতানি নিয়মের গেরোয় জটিলতা বাড়ে। তাই ভারতের বাজার ধরতে ভারতে সরাসরি বিনিয়োগ করছেন বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীর।