মালামাল হয়ে গেল SBI, মাত্র ৩ মাসে ব্যাঙ্কের ঝুলিতে এল ১৭, ০০০ কোটি টাকা

দেশের সবথেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বর্তমান সময়ে কয়েক কোটি মানুষ এই ব্যাঙ্কের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন। আপনারও কি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ…

SBI

দেশের সবথেকে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বর্তমান সময়ে কয়েক কোটি মানুষ এই ব্যাঙ্কের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন। আপনারও কি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)-তে অ্যাকাউন্ট আছে তাহলে আপনার জন্য রইল একটি দুর্দান্ত সুখবর। এক কথায় ব্যাঙ্কের মুকুটে এখন এক নয়া পালক জুড়েছে, যা শুনলে আপনিও খুশি হয়ে যাবেন। ব্যাংকের একজন গ্রাহক হিসাবে আপনারও বুক গর্বে ফুলে উঠবে বৈকি। 

 

   

 আসলে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে ব্যাঙ্কের তরফে। আর এই রিপোর্ট দেখেই সকলের চোখ কপালে উঠেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে চমকপ্রদ সাফল্য এসেছে ব্যাঙ্কের। শনিবার ব্যাংকটি যখন তার ত্রৈমাসিক ফলাফলের তথ্য পুঁজিবাজারে পাঠায়, তখন পরিসংখ্যানগুলি খুব চোখে পড়ার মতো ছিল। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের একক মুনাফা অর্থাৎ শুধুমাত্র ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। 

 

গত আর্থিক বছর ২০২৩-২৪সালের একই ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা ছিল ১৬, ৮৮৪ কোটি টাকা। এ সময়ে ব্যাঙ্কের আয়ও ব্যাপক হারে বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আজে শনিবার ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, জুন ত্রৈমাসিকে এসবিআইয়ের মোট আয় বেড়ে হয়েছে ১,২২,৬৮৮ কোটি টাকা। গত আর্থিক বছরের একই ত্রৈমাসিকে যা ছিল ১,০৮,০৩৯ কোটি টাকা। শুধু ব্যাঙ্কের সুদ আয় বেড়ে দাড়িয়েছে ১,১১,৫২৬ কোটি টাকা মক্ত । যেখানে গত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে তা ছিল ৯৫,৯৭৫ কোটি টাকা। 

 

 

অর্থাৎ SBI- র মোট এনপিএ ঋণের মাত্র ২.২১ শতাংশে নেমে এসেছে। গত অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে যা ছিল ২.৭৬ শতাংশ। নেট এনপিএ ২০২৪ সালের জুন ত্রৈমাসিকে ০.৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা এক বছর আগে ০.৭১ শতাংশ ছিল। আরও অনেক ক্ষেত্রে এসবিআই এর আয় কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যেমন সিকিউরিটিজ ব্যবসা বা কার্ড ব্যবসায় এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে এসবিআইয়ের মুনাফা ছিল ১৯,৩২৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবর্ষের একই ত্রৈমাসিকে যা ছিল ১৮,৫৩৭ কোটি টাকা। একীভূত ভিত্তিতে, ব্যাঙ্কের আয় জুন ত্রৈমাসিকে ১,৫২,১২৫ কোটি টাকা হয়েছে, যা গত অর্থবর্ষের একই সময়ে ১,৩২,৩৩৩ কোটি টাকা ছিল।