ভারতের খুচরা মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation ) আগামী অক্টোবর ২০২৫-এ আরও নিচে নামতে পারে বলে জানিয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ বেস ইফেক্ট, দেরিতে মৌসুমি প্রভাব পড়া এবং জিএসটি সংস্কারের ফল—এই তিনটি বড় কারণ মিলেই মূল্যবৃদ্ধি আরও কমাবে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে সিপিআই ০.৫০ শতাংশের নিচে থাকতে পারে।
খাদ্যদ্রব্যে নেতিবাচক প্রবণতা:
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি তীব্রভাবে কমছে এবং শীতকাল জুড়েই তা নেতিবাচক পর্যায়ে থাকতে পারে। বন্যার প্রভাব কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ স্থিতিশীল, ফলে সবজি, ভোজ্য তেল ও শস্যের দামে স্পষ্ট স্বস্তি এসেছে। এই প্রবণতা সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি কমাতে বড় ভূমিকা রাখছে।
আট বছরের সর্বনিম্ন মুদ্রাস্ফীতি:
ইউনিয়ন ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ভারতের মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করছে। খাদ্যমূল্য কমা এবং জিএসটি রেট র্যাশনালাইজেশন বাজারকে স্থিতিশীল করেছে। তাই FY26-এর সিপিআই পূর্বাভাস ৩.১% থেকে কমিয়ে ২.৬% করা হয়েছে। বছরের বেশিরভাগ সময়ই মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার নিচে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্রাম–শহরে দামে স্বস্তি:
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনডেক্স (CFPI) -২.২৮%, অর্থাৎ জুন থেকে খাদ্যমূল্য টানা নেতিবাচক পরিসরে।
গ্রামে মুদ্রাস্ফীতি: ১.০৭%
শহরে মুদ্রাস্ফীতি: ২.০৪%
দুই ক্ষেত্রেই খাদ্যমূল্য যথাক্রমে -২.১৭% ও -২.৪৭%, যা সবজি, ফল, শস্য, ডিম ও তেলের দামে স্পষ্ট পতন নির্দেশ করছে।
সরকার জানিয়েছে, বেস ইফেক্ট, খাদ্যমূল্য কমা এবং জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের ওপর চাপ কমার ফলেই বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান ধারা বজায় থাকলে খুচরা মূল্যস্ফীতি আরও কিছুদিন নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।