স্টেট গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ নিলামে ১৭,০০০ কোটি সংগ্রহ করল রাজ্যগুলি, জানাল আরবিআই

RBI Re-issue Government Securities October 31

ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) ২০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত স্টেট গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ (SGS) নিলামের ফল প্রকাশ করেছে। এই নিলামের মাধ্যমে মোট ১৭,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ—এই পাঁচটি রাজ্য ভিন্ন মেয়াদে সরকারি বন্ড ইস্যু করে অর্থ তোলে। বন্ডগুলির মেয়াদ ছিল ৭ বছর থেকে ২৬ বছর পর্যন্ত, আর কাট-অফ ইল্ডের হার নির্ধারিত হয় ৬.৯৯% থেকে ৭.৩৬%–এর মধ্যে।

Advertisements

নিলামে বিপুল সাড়া, প্রতিযোগিতামূলক বিডে অফার ৭০ হাজার কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই:

আরবিআই জানিয়েছে, নিলামে মোট ৭৮০টি প্রতিযোগিতামূলক বিড জমা পড়ে, যার আর্থিক মূল্য ছিল ৬৯,৫৯৯.৪৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬,৬০৭.৮৫ কোটি টাকার বিড গৃহীত হয়। পাশাপাশি নন-কমপেটিটিভ বিড সেগমেন্টে ৩৯২.১৫ কোটি টাকার অফার সম্পূর্ণভাবে মঞ্জুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বরাদ্দের মোট অঙ্ক দাঁড়ায় ১৭,০০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপুল বিডের পরিমাণ বর্তমান বাজারে SGS–এর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা স্পষ্ট করে।

   

ছত্তিশগড়: দুই বন্ডে ২,০০০ কোটি টাকা: RBI SGS auction October 2025 results

ছত্তিশগড় ১৫ বছরের এবং ১১ বছরের দুইটি বন্ড ইস্যু করে ২,০০০ কোটি টাকা তোলে। ২০৪০ সালের বন্ডে কাট-অফ ইল্ড ছিল ৭.৩৪% এবং ২০৩২ সালের রি-ইস্যু বন্ডে ইল্ড নির্ধারিত হয় ৭.০৪%।

মহারাষ্ট্র: চার ইস্যুতে সর্বোচ্চ ৫,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ:

মহারাষ্ট্র মোট চারটি সিকিউরিটিজ ইস্যু করে ৫,০০০ কোটি টাকা তোলে। বন্ডগুলির ইল্ডের হার ছিল ৭.১৩% থেকে ৭.২৯%–এর মধ্যে। এই রাজ্যই নিলামে সর্বোচ্চ অর্থ সংগ্রহকারী।

রাজস্থান: তিন ট্রাঞ্চে ৫,০০০ কোটি:

রাজস্থান রি-ইস্যু এবং নতুন বন্ড মিলিয়ে তিন ধাপে ৫,০০০ কোটি টাকা তোলে। বন্ডগুলির ইল্ড ছিল ৭.১৯% থেকে ৭.৩৬%–এর সীমায়।

Advertisements
তামিলনাড়ু: ৭ বছরের বন্ডে সর্বনিম্ন ইল্ড ৬.৯৯%:

তামিলনাড়ু চারটি বন্ড ইস্যু করে ৪,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ৭ বছরের বন্ডে ৬.৯৯% ইল্ড—যা পুরো নিলামের মধ্যে সর্বনিম্ন।

উত্তরপ্রদেশ: একক বন্ডে ২,০০০ কোটি টাকা:

উত্তরপ্রদেশ ১০ বছরের একটি সিকিউরিটি ইস্যু করে ৭.১৫% ইল্ডে ২,০০০ কোটি টাকা তোলে।

বন্ডের অর্থ কোথায় কাজে লাগবে?

বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্যগুলির এই তহবিল অবকাঠামো উন্নয়ন, রাজস্ব ঘাটতি এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।