বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শুরুতে মূল্যবান ধাতু (Gold price) বাজারে দেখা গেল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সামান্য পতনের পথে চলেছে সোনার দাম, পাশাপাশি রুপোর দামেও (Gold price) দেখা গিয়েছে উল্লেখযোগ্য হ্রাস। আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা ও ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের প্রেক্ষিতে এই পরিবর্তন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতের বাজারে এদিন ২৪ ক্যারেট সোনার দাম(Gold price) প্রতি ১০ গ্রামে ১০ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭,৯০০(Gold price) এই তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা, মুম্বাই ও চেন্নাইয়ে ২৪ ক্যারেট সোনার (Gold price) প্রতি ১০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ₹৯৭,৯০০-তে। অন্যদিকে, দিল্লিতে একই পরিমাণ সোনার দাম ৯৮,০৩০ (Gold price)
অন্যদিকে ২২ ক্যারেট সোনার দামে (Gold price) উল্টো চিত্র। এখানে প্রতি ১০ গ্রামে দাম ১০ বেড়ে হয়েছে ৮৯,৭৪০। দিল্লিতে ২২ ক্যারেট সোনার দাম কিছুটা বেশি, প্রতি ১০ গ্রামে ৮৯,৮৯০(Gold price) । মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদে এই দাম একই রয়েছে ৮৯,৭৪০ (Gold price) ।
রুপোর দিকেও দেখা গিয়েছে দামের (Gold price) পতন। প্রতি কেজি রুপোর দাম (Gold price) ১০০ কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৯৯,৯০০ (Gold price) । এই দাম দিল্লি, মুম্বাই ও কলকাতায় একই রয়েছে। তবে চেন্নাইয়ে রুপোর দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি – প্রতি কেজি ১,০৮,৯০০ (Gold price)
আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব
বিশ্ববাজারে বৃহস্পতিবার সোনার (Gold price) দরপতন হয়েছে ০.৭ শতাংশ, প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম এসে দাঁড়িয়েছে $3,265.45। অপরদিকে, ইউএস গোল্ড ফিউচারস কমেছে ১.৪ শতাংশ, বর্তমানে প্রতি আউন্স $3,273.70-এ লেনদেন হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থান এবং আমেরিকা ও তাদের বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে নীতিগত অনিশ্চয়তা সোনার দামে (Gold price) চাপ তৈরি করছে। এই মুহূর্তে বিনিয়োগকারীরা বিশেষভাবে নজর রাখছেন আসন্ন মার্কিন নন-ফার্ম পেরোলস রিপোর্ট-এর উপর, যা শ্রমবাজারের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা দেবে এবং ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিগত পদক্ষেপকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য বার্তা
মূল্যবান ধাতুতে (Gold price) বিনিয়োগকারীদের কাছে এই দামের ওঠানামা কোনও নতুন বিষয় নয়। তবে বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্তরে আর্থিক অনিশ্চয়তা ও মুদ্রানীতির কড়াকড়ির কারণে সোনা ও রুপোর বাজারে চাপ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সেক্ষেত্রে যারা স্বল্পমেয়াদি লাভের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করছেন, তাঁদের আরও সতর্ক থাকা দরকার।
অন্যদিকে, যারা দীর্ঘমেয়াদে মূলধন নিরাপদ রাখতে চান, তাঁদের জন্য সোনা এখনও একটি ভালো বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কারণ মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার সময়ে ঐতিহ্যগতভাবে সোনা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে কাজ করে থাকে।
সোনার দামে (Gold price) ১০ ও রুপোর দামে (Gold price) ১০০ পতন তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও এটি একটি বড় আর্থিক প্রেক্ষাপটের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষত আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিক্রিয়া ও ডলারের ওঠানামা, মার্কিন অর্থনৈতিক রিপোর্ট, এবং ফেডের সিদ্ধান্তের উপর আগামী দিনে সোনা-রুপোর দামের দিক নির্ধারিত হবে। ফলে বিনিয়োগকারীদের উচিত বাজার মনিটর করা এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।