PPF স্কিমে ম্যাচুরিটির পরও ব্যালেন্স বাড়বে সুদে, জানুন প্রক্রিয়া

PPF Passive Extension

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF) ভারতের অন্যতম নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য সঞ্চয় প্রকল্প। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি স্থিতিশীল রিটার্ন এবং ট্যাক্স–সেভিং সুবিধা প্রদান করে। PPF–এর মেয়াদ ১৫ বছর হলেও, অনেকেই জানতে চান—এই সময়সীমা শেষ হলে যদি তারা কোনো নতুন জমা না করেন, তবে কী হবে? সুদ কি চালু থাকবে? সরকারের এই স্কিমে রয়েছে এমন একটি বিশেষ নিয়ম, যা বিনিয়োগকারীদের বড় সুবিধা দেয়।

Advertisements

মেয়াদ শেষে কী হবে?

PPF অ্যাকাউন্ট ১৫ বছর পূর্ণ হলে বিনিয়োগকারীর সামনে দুটি পথ খোলা থাকে—অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে পুরো টাকা তুলে নেওয়া, অথবা অ্যাকাউন্টটি বাড়িয়ে ব্যবহার করা। তবে বিশেষ বিষয় হলো, বিনিয়োগকারী যদি কোনো এক্সটেনশন ফর্ম না ভরেন, এবং নতুন কোনো জমাও না করেন, তাহলেও অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্যাসিভ এক্সটেনশন মোডে চলে যায়। এই অবস্থায় কোনো টাকা জমা না করলেও বিদ্যমান ব্যালেন্সের উপর সুদ জমতে থাকে।

   

কর সুবিধা অপরিবর্তিত: PPF Passive Extension

PPF–এ বার্ষিক সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করা যায়। এই বিনিয়োগ ধারা 80C–এর অধীনে করছাড়ের যোগ্য। সবচেয়ে বড় আকর্ষণ—এতে জমা টাকা, সুদ এবং ম্যাচুরিটি—এই তিন স্তরেই ট্যাক্স–ফ্রি সুবিধা পাওয়া যায়, যা EEE (Exempt-Exempt-Exempt) ক্যাটাগরিতে পড়ে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে এটি কর–বাঁচানোর অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম।

৫ বছরের বাড়তি সময়ের সুবিধা:

মেয়াদ শেষে PPF অ্যাকাউন্ট ৫ বছরের জন্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। চাইলে সক্রিয় এক্সটেনশন নিয়ে প্রতি বছর ন্যূনতম ৫০০ টাকা জমা করেও 80C সুবিধা অব্যাহত রাখা যায়। আবার কেউ যদি নতুন জমা দিতে না চান, তবে প্যাসিভ মোডে শুধু সুদ উপার্জন করেই অ্যাকাউন্ট চালু রাখতে পারেন। এ সময়ে উত্তোলনেও কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না।

Advertisements

বিনা বিনিয়োগে বছরে ৭১,০০০ টাকা আয়:

বর্তমানে PPF–এ সুদের হার 7.1%। অর্থাৎ কোনো বিনিয়োগকারী যদি ১৫ বছর শেষে তার অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স রেখে দেন এবং নতুন কোনো টাকা না জমা করেন, তবে শুধুমাত্র সুদ হিসেবেই বছরে প্রায় ৭১,০০০ টাকা আয় হবে। সুদ জমতে থাকার ফলে সময়ের সঙ্গে ব্যালেন্স আরও বাড়বে। যারা ঝুঁকিবিহীনভাবে দীর্ঘমেয়াদে টাকা রাখতে চান, তাদের জন্য এই নিয়ম অত্যন্ত লাভজনক।

শেষ কথা:

PPF–এর নিরাপত্তা, কর সঞ্চয় ও দীর্ঘমেয়াদে সুদ উপার্জন—এই তিন সুবিধা মিলিয়ে এটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে এখনও সবচেয়ে পছন্দের সঞ্চয় প্রকল্প।