HomeBusinessPM বিশ্বকর্মা যোজনা: কারা পাবেন এই সুবিধা? কী কী শর্ত মানতে হবে?...

PM বিশ্বকর্মা যোজনা: কারা পাবেন এই সুবিধা? কী কী শর্ত মানতে হবে? জানুন এক নজরে

- Advertisement -

দেশের প্রথাগত কারিগর ও হস্তশিল্পীদের আর্থিক স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা’। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যারা নিজস্ব দক্ষতার উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছেন, এই বিশেষ প্রকল্প মূলত তাদের জন্যই তৈরি। আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, আধুনিক সরঞ্জাম এবং সহজ ঋণ—সমস্ত সুবিধা এক ছাতার নিচে পাওয়া যায় এই যোজনায়।

কারা এই যোজনার সুবিধা পাবেন?

PM বিশ্বকর্মা যোজনার লক্ষ্য হল সেইসব কারিগর ও শিল্পীরা যারা বহু বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী পেশায় নিযুক্ত। তালিকায় রয়েছে কাঠমিস্ত্রি, স্বর্ণকার, কামার, রাজমিস্ত্রি, কুমোর, মোচি, নাপিত, পাশাপাশি আরও বহু ধরনের পেশাজীবী।
এই সমস্ত ক্ষেত্রের মানুষদের দক্ষতাই তাদের প্রধান আয়ের উৎস—এ বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পায়।

   

এখানে উল্লেখযোগ্য, প্রকল্পের সুবিধা নিতে হলে অবশ্যই স্বনিযুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ নিজস্ব কাজের মাধ্যমে উপার্জন করতে হবে। যারা সরকারি চাকরি করেন কিংবা কোনো সরকারি দপ্তর, পাবলিক সেক্টর বা স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থায় কর্মরত, তারা এই যোজনার আওতায় আসেন না।

কারা সুবিধা পাবেন না? PM Vishwakarma Scheme Benefits

যারা প্রথাগত পেশায় যুক্ত নন, তাদের জন্য এই প্রকল্প নয়। তার পাশাপাশি, যেসব ব্যক্তি ইতিমধ্যে কোনো কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের অন্য কোনো স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন, তারাও PM বিশ্বকর্মায় নতুন করে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না।
সরকার চাইছে—একজন ব্যক্তি যেন একই ধরনের প্রকল্পের সুবিধা একাধিকবার না নেন এবং প্রকৃত কারিগররাই যেন সর্বাধিক সুবিধা পান।

প্রশিক্ষণ, ভাতা ও সরঞ্জাম কেনার সহায়তা:

এই যোজনায় যুক্ত হওয়ার পর প্রথমেই প্রদান করা হয় প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণকালীন প্রতিদিন ৫০০ টাকা স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে এককালীন ১৫,০০০ টাকা টুলকিট সহায়তা দেওয়া হয়, যা দিয়ে কারিগরেরা আধুনিক সরঞ্জাম কিনে কাজের মান আরও উন্নত করতে পারেন।

কম সুদে ঋণের সুবিধা:

আরও একটি বড় সুবিধা হলো সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তি। প্রকল্পে যোগ দেওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে ১ লাখ টাকার ঋণ ১৮ মাসের জন্য পাওয়া যায়। এই ঋণ পরিশোধের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ লাখ টাকার ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকে, যার সময়সীমা ৩০ মাস।

শেষ কথা:

সরকারের দাবি—এই আর্থিক সহায়তা কারিগরদের ব্যবসা বাড়াতে, আধুনিক সরঞ্জামে আপগ্রেড হতে এবং আয় বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular