কর্ণাটকের ঐতিহ্যবাহী শহর হাম্পিতে ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ স্কিম (Prime Minister Internship Scheme – PMIS)-এর ইন্টার্নদের সঙ্গে এক বিশেষ আন্তঃক্রিয়ামূলক সেশনে অংশ নেন। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রায় ৬০ জন ইন্টার্ন অংশ নেন। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কিছু অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরা — যেমন ইনফোসিস, আইবিএম, টিসিএস, টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস, ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, এমআরপিএল, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL), এনএমডিসি, এমএসপিএল এবং হানিওয়েল টেকনোলজি সলিউশনস।
ইন্টার্নদের অভিজ্ঞতা ও প্রেরণার কথা শুনলেন মন্ত্রী:
সেশনে অর্থমন্ত্রী সীতারামন ইন্টার্নদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাঁদের অভিজ্ঞতা, শিক্ষা এবং ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে জানতে চান। তিনি জানতে চান কীভাবে তাঁরা এই স্কিমে যুক্ত হলেন এবং কীভাবে ইন্টার্নশিপ চলাকালীন তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্ত্রী তাঁদের কর্মজীবনের শুরুতে উৎসাহ ও পরামর্শ দেন এবং বলেন, “এই ইন্টার্নশিপ কেবল পেশাগত দক্ষতা নয়, ব্যক্তিত্ব বিকাশেও ভূমিকা রাখছে। যোগাযোগের বাধা অতিক্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্কিলও তাঁরা অর্জন করছেন।”
সাফল্যের স্বীকৃতি ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ: PM Internship Scheme Hampi
অনেক ইন্টার্ন তাঁদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য ইতিমধ্যেই সংস্থাগুলিতে পূর্ণকালীন চাকরির সুযোগ পেয়েছেন। তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তোমাদের নিষ্ঠা এবং পরিশ্রম আজ ফলপ্রসূ হয়েছে। আগামীতেও এই মনোভাব ধরে রেখো।”
গৌরীর অনুপ্রেরণামূলক গল্পে মুগ্ধ অর্থমন্ত্রী:
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরলের হানিওয়েল টেকনোলজি সলিউশনস ল্যাব প্রাইভেট লিমিটেডের এমবেডেড ইঞ্জিনিয়ার ইন্টার্ন গৌরী এইচ, যিনি একক মায়ের মেয়ে এবং একাডেমিকভাবে অত্যন্ত মেধাবী হলেও কর্মজীবনে সুযোগ সীমিত ছিল। PMIS তাঁকে স্বপ্নের পেশায় প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে। মন্ত্রী তাঁর উদ্যম ও অধ্যবসায়ের প্রশংসা করে বলেন, “গৌরীর গল্পই প্রমাণ করে PMIS-এর আসল উদ্দেশ্য — ভারতীয় তরুণদের আত্মনির্ভর ও দক্ষ করে তোলা।”
যুবসমাজের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নে নতুন দিগন্ত:
প্রধানমন্ত্রী ইন্টার্নশিপ স্কিম হল সরকারের পাঁচটি যুব-কেন্দ্রিক কর্মসূচির একটি, যার লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ বৃদ্ধি করা। ২১ থেকে ২৪ বছর বয়সী সেইসব তরুণদের জন্য এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য, যারা বর্তমানে কোনো পূর্ণকালীন শিক্ষা বা চাকরিতে নিযুক্ত নয়। দেশের শীর্ষ কোম্পানিগুলিতে প্রদত্ত এই বেতনসহ ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে এক কোটিরও বেশি ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি করা হবে। বর্তমানে স্কিমটির পাইলট পর্যায় চলছে, যা ইতিমধ্যেই তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।