গ্লোবাল চিপ হাবে ভারতকে এগিয়ে নিতে ইনফিনিওন-পীযুষ বৈঠক

Piyush Goyal met Infineon Technologies CEO Jochen Hanebeck to discuss opportunities for collaboration in semiconductors and decarbonisation initiatives, boosting India’s tech and green energy ambitions.

নয়াদিল্লি, ২৪ অক্টোবর: ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল জার্মান বহুজাতিক সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি ইনফিনিওন টেকনোলজিস এজি (Infineon Technologies AG)-এর সিইও ইওখেন হানেবেক (Jochen Hanebeck)-এর সঙ্গে বৈঠক করলেন। বৈঠকে মূলত সেমিকন্ডাক্টর খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা এবং ডিকার্বনাইজেশন উদ্যোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

Advertisements

বৈঠকের উদ্দেশ্য

ভারত ইতিমধ্যেই সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং-কে অগ্রাধিকারমূলক খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। কেন্দ্র সরকার “India Semiconductor Mission” এর মাধ্যমে দেশকে গ্লোবাল চিপ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি ইনফিনিওনের সঙ্গে সম্ভাব্য বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ভারতীয় শিল্পে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ার লক্ষ্যে ডিকার্বনাইজেশনও আলোচনার অন্যতম প্রধান দিক ছিল।

ইনফিনিওনের ভূমিকা

জার্মানির ভিত্তিক ইনফিনিওন টেকনোলজিস বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টর, পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স ও সবুজ শক্তি সমাধানে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি অটোমোটিভ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, কমিউনিকেশন ও সিকিউরিটি চিপ উৎপাদনে পরিচিত। ভারতের মতো উদীয়মান বাজারে তারা নতুন প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ আনতে আগ্রহী।

ভারতের সম্ভাবনা

ভারতের বাজারে ইলেকট্রনিক্স ও অটোমোটিভ শিল্প দ্রুত বাড়ছে। ৫জি প্রযুক্তি, ইলেকট্রিক ভেহিকল এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিপসেট ও পাওয়ার সলিউশনের চাহিদা বাড়ছে। তাই ইনফিনিওন ও ভারতের সহযোগিতা দেশীয় উৎপাদন ও কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

Advertisements
পীয়ূষ গোয়েলের বার্তা

বৈঠকের পরে পীয়ূষ গোয়েল এক্স-এ পোস্ট করে লেখেন,

“ইনফিনিওনের সিইও ইয়োখেন হানেবেকের সঙ্গে বৈঠক করলাম। সেমিকন্ডাক্টর ও ডিকার্বনাইজেশন উদ্যোগে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

শিল্পমহলের প্রতিক্রিয়া

শিল্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের “Make in India” এবং “Atmanirbhar Bharat” উদ্যোগের সঙ্গে এমন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা যুক্ত হলে ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স শিল্পে বিপ্লব ঘটতে পারে। পাশাপাশি, জ্বালানি খাতে সবুজ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইনফিনিওনের অভিজ্ঞতা ভারতের জন্য বড় সম্পদ হবে।

ইনফিনিওনের সঙ্গে ভারতের সম্ভাব্য সহযোগিতা শুধু প্রযুক্তিগত নয়, বরং কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন, সবুজ শক্তি এবং ডিকার্বনাইজেশনে যৌথ উদ্যোগ ভারতকে বৈশ্বিক মানচিত্রে আরও শক্ত অবস্থান এনে দিতে পারে।