ভারতের মেট্রো শহরগুলিতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম (petrol-diesel-price) বুধবারও অপরিবর্তিত রইল। এই নিয়ে একটানা বেশ কয়েক মাস ধরে জ্বালানির দামে (petrol-diesel-price) কোনো বড় পরিবর্তন দেখা যায়নি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে সর্বশেষবার পেট্রোলের দামে (petrol-diesel-price) বড় রকমের সংশোধন করা হয়েছিল, যখন প্রতি লিটারে ২ টাকা কমানো হয়। সেই সময় থেকে দেশের তেল বিপণন সংস্থাগুলি দাম (petrol-diesel-price) অপরিবর্তিত রেখেছে, এবং এখনো পর্যন্ত তাতে কোনো হেরফের হয়নি।
৭ মে, ২০২৫ তারিখে দিল্লিতে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম (petrol-diesel-price) ৯৪.৭৭ টাকা এবং ডিজেলের দামও আগের অবস্থানেই রয়েছে। মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতা সহ অন্যান্য বড় শহরেও দাম (petrol-diesel-price) একই রয়েছে। ২০২২ সালের মে মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং একাধিক রাজ্য সরকার জ্বালানি কর হ্রাস করে দাম কিছুটা কমিয়েছিল। সেই থেকে পেট্রোল ও ডিজেলের দামে (petrol-diesel-price) স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।
ভারতের জ্বালানি বাজারে দাম (petrol-diesel-price) নির্ধারণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil) দাম এবং ডলারের বিনিময় হার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি যেমন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন প্রতিদিন এই দামের পর্যালোচনা করে, এবং দাম পরিবর্তন হলে তা ভোর ৬টা থেকে কার্যকর করা হয়।
এই সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম (petrol-diesel-price) কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে – ০.৭৬% বেড়ে। যদিও, এর আগেই এই অপরিশোধিত তেলের দাম $৫৯ ডলারের নিচে নেমে আসে, যা ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন। বছর শুরুর পর থেকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় ২০% কমে গেছে, যা ২০২০ সালের পর সবচেয়ে খারাপ সূচনা বলেই মনে করা হচ্ছে। কেবল এপ্রিল মাসেই এই দাম (petrol-diesel-price) ১৫.৬% কমেছে, যা ২০২১ সালের নভেম্বরের পর সর্ববৃহৎ মাসিক পতন।
এই ধরনের দামের ওঠানামা বিশ্বব্যাপী জ্বালানি চাহিদা, ভূরাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং বৈশ্বিক মন্দার সম্ভাবনার উপর নির্ভর করে। চীনের অর্থনৈতিক ধীরগতি, ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা কমেছে, যার ফলেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী হয়েছে।
যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে দামের এই পতন ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দামে (petrol-diesel-price) কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি, বিশেষজ্ঞদের মতে এই পরিস্থিতি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে ভবিষ্যতে দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি কেন্দ্রীয় সরকারের কর নীতির উপরও নির্ভর করে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের কৌশলগতভাবে দাম স্থিতিশীল রাখা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ জনগণ এবং পরিবহন শিল্পের উপর চাপ কমছে। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করে যদি তেলের দাম দ্রুত বেড়ে যায়, তাহলে ভারতীয় বাজারেও তার প্রভাব পড়তে পারে।
পরিশেষে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী, তেলের দাম (petrol-diesel-price) নিয়ে সাধারণ জনগণকে এখনই কোনো দুশ্চিন্তা করতে হচ্ছে না। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি, কারণ যেকোনো বড় পরিবর্তন ভবিষ্যতে ভারতের বাজারেও প্রতিফলিত হতে পারে।