কলকাতা ২৮ সেপ্টেম্বর: ভারতের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম প্রতি দিন সকালে ৬টায় আপডেট করা হয়, যা বৈশ্বিক ক্রুড তেলের দাম এবং মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। এটি একটি স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রক্রিয়া, যা নিশ্চিত করে যে গ্রাহকরা সর্বশেষ এবং সঠিক জ্বালানি দামে প্রবাহিত থাকতে পারেন।
এই দৈনিক সংশোধন শুধুমাত্র বাজারের পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক দামের ওঠানামা অনুসরণ করে না, বরং সরকারের কর নীতি, নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণ কাঠামো, এবং অস্থায়ী মূল্য সীমাবদ্ধতার প্রভাবেও এই দাম স্থির হয়।
পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম পরিবর্তিত হওয়ার মূল কারণ হল বিশ্বব্যাপী ক্রুড তেলের দাম। ক্রুড তেল হল পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল উপাদান, যা পরিবহন ও শিল্পে ব্যবহৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি। এছাড়া, মুদ্রা বিনিময় হার, বিশেষত রুপি-ডলারের হার, তেলের দামকে প্রভাবিত করে। যখন রুপি দুর্বল হয়, তখন তেল আমদানির খরচ বৃদ্ধি পায়, যার প্রভাব দাম বৃদ্ধিতে পড়ে।
ভারত, অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীল। যেহেতু ভারত অধিকাংশ তেল আমদানি করে ডলার ব্যবহারের মাধ্যমে, তাই রুপি-ডলারের বিনিময় হারে পরিবর্তন হলে এর প্রভাব পেট্রোল ও ডিজেলের দামেও পড়ে। রুপি যদি ডলারের তুলনায় দুর্বল হয়,
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বিভিন্ন শহরে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে, যা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় কর নীতি এবং পরিবহন খরচের ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, মুম্বাইয়ে পেট্রোলের দাম ১০৪.২১ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯২.১৫ টাকা, কলকাতায় পেট্রোলের দাম ১০৩.৯৪ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯০.৭৬ টাকা। অন্যদিকে, চেন্নাইয়ে পেট্রোলের দাম ১০০.৭৫ টাকা এবং ডিজেলের দাম ৯২.৩৪ টাকা।
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম শুধুমাত্র ব্যক্তিগত গাড়ি চালকদের জন্য নয়, বরং সারা দেশের অর্থনীতি, শিল্প এবং কৃষির জন্যও একটি বড় ভূমিকা পালন করে। যেহেতু অধিকাংশ পণ্য পরিবহণের জন্য ডিজেল এবং পেট্রোল ব্যবহৃত হয়, তাই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেলে সেই পণ্যের দামও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গ্রাহকদের দৈনন্দিন খরচের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়ে।