দেখে নিন আজকের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম

ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য প্রতিদিন সকাল ৬টায় সংশোধিত হয়, যা ‘ডায়নামিক প্রাইসিং’ পদ্ধতি নামে পরিচিত। এই পদ্ধতি অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের ওঠানামা,…

petrol-diesel-price-today-india-february-28-2025-update

ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য প্রতিদিন সকাল ৬টায় সংশোধিত হয়, যা ‘ডায়নামিক প্রাইসিং’ পদ্ধতি নামে পরিচিত। এই পদ্ধতি অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের ওঠানামা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে জ্বালানির মূল্য নির্ধারিত হয়।

আজকের পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য:

kolkata24x7-sports-News

   

আজ, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ভারতের প্রধান মেট্রো শহরগুলিতে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য নিম্নরূপ:

– নয়াদিল্লি:
– পেট্রোল: ৯৪.৭২ টাকা প্রতি লিটার
– ডিজেল: ৮৭.৬২ টাকা প্রতি লিটার

– মুম্বাই:
– পেট্রোল: ১০৪.২১ টাকা প্রতি লিটার
– ডিজেল: ৯২.১৫ টাকা প্রতি লিটার

– কলকাতা:
– পেট্রোল: ১০৩.৯৪ টাকা প্রতি লিটার
– ডিজেল: ৯০.৭৬ টাকা প্রতি লিটার

– চেন্নাই:
– পেট্রোল: ১০০.৭৫ টাকা প্রতি লিটার
– ডিজেল: ৯২.৩৪ টাকা প্রতি লিটার

উল্লেখ্য, এই মূল্যসমূহ প্রতিদিন পরিবর্তিত হতে পারে এবং স্থানীয় ভ্যাট ও অন্যান্য করের কারণে শহরভেদে কিছুটা পার্থক্য দেখা যায়।

ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি ‘ডায়নামিক প্রাইসিং’ নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের ওঠানামা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে জ্বালানির মূল্য প্রতিদিন নির্ধারিত হয়। এছাড়া, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের শুল্ক ও করের কারণে জ্বালানির মূল্যে ভিন্নতা দেখা যায়।

পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে পড়ে। যাতায়াতের খরচ বাড়ায়, যা পরিবহন খাতে প্রভাব ফেলে। এছাড়া, পণ্য পরিবহন খরচ বাড়ানোর কারণে দ্রব্যমূল্যের উপরও প্রভাব পড়ে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায়।

ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য প্রতিদিন পরিবর্তিত হয়, যা আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ওঠানামা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এবং সরকারের শুল্ক ও করের উপর নির্ভর করে। সাধারণ মানুষকে এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে চলতে হয় এবং সরকারের উচিত জ্বালানির মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

এছাড়া, জ্বালানির মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক ফ্যাক্টরের উপর নজর রাখতে হবে। এছাড়া, জ্বালানির বিকল্প উৎসের উপর বিনিয়োগ বাড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদে জ্বালানির মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব।

সর্বশেষে, সাধারণ মানুষকে জ্বালানির মূল্য পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে চলতে হবে এবং পরিবহন খরচ কমানোর জন্য বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়িয়ে খরচ কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

এভাবে, পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব।