আজ বাজারে ফুয়েল রেট কত? বাজারের গতি কোন দিকে?

কলকাতা: টানা স্থিতিশীলতা বজায় রেখে মঙ্গলবার দেশের প্রধান মেট্রো শহরগুলিতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মার্চ ২০২৪-এ সরকার পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ₹২…

India Fuel Price Update: No Major Changes; Chennai Sees Minor Dip in Petrol Rates

কলকাতা: টানা স্থিতিশীলতা বজায় রেখে মঙ্গলবার দেশের প্রধান মেট্রো শহরগুলিতে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মার্চ ২০২৪-এ সরকার পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ₹২ কমানোর পর এই প্রথম বড় কোনো সংশোধন ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে জ্বালানির দাম একই থাকছে।

এদিন বিভিন্ন শহরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম

দিল্লি:              পেট্রোল – ৯৪.৭৭ টাকা,              ডিজেল – ৮৭.৬৭ টাকা

   

মুম্বই:              পেট্রোল –  ১০৩.৫০টাকা,            ডিজেল – ৯০.০৩ টাকা

চেন্নাই:             পেট্রোল – ১০০.৮০টাকা,            ডিজেল – ৯২.৩৯ টাকা

কলকাতা:        পেট্রোল – ১০৫.৪১টাকা,             ডিজেল – ৯২.০২ টাকা

Advertisements

২০২২ সালের মে মাসে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই দেশে জ্বালানির দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। বর্তমানে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি প্রতিদিন আন্তর্জাতিক বাজার ও মুদ্রাবাজারের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে ভোর ৬টায় দাম নির্ধারণ করে থাকে।

‘ডায়নামিক প্রাইসিং’ পদ্ধতি Petrol and diesel price

দামের এই পরিবর্তন ‘ডায়নামিক প্রাইসিং’ পদ্ধতির আওতায় আসে, যেখানে বিবেচনায় নেওয়া হয় আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের দাম, ডলারের বিপরীতে রুপির মান, বৈশ্বিক চাহিদা-সরবরাহ পরিস্থিতি এবং বাজারে চুক্তিভিত্তিক ব্যবসার গতি।

আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারেও অস্থিরতা অব্যাহত। মঙ্গলবার খানিকটা বাড়ার পর বুধবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ০.৩৯% কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেল ৬৬.৬১ ডলার। মে মাসে এই দাম নেমে গিয়েছিল ৫৯ ডলারের নিচে, যা ছিল ফেব্রুয়ারি ২০২১-এর পর সর্বনিম্ন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা বাজারে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে, তবুও বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ব্রেন্ট প্রায় ৯ শতাংশ দামে পিছিয়ে রয়েছে।

ওপেক প্লাস (OPEC+) গোষ্ঠীর উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে আগ্রহ হারানো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ যুদ্ধের জেরে বাজারে জ্বালানির চাহিদা ও মূল্য দুই-ই চাপের মুখে।