চিকিৎসার জরুরি খরচ, বাড়ি সংস্কার, উচ্চশিক্ষা কিংবা দৈনন্দিন প্রয়োজন—বিভিন্ন কারণে বহু মানুষ আজ ব্যক্তিগত ঋণের দিকে ঝুঁকছেন। তবে ঋণ পেতে গেলে শুধু আবেদন করলেই হয় না, কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ও আর্থিক বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করতেই হয়।
ক্রেডিট স্কোর: প্রথম ধাপ
ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পায় আবেদনকারীর ক্রেডিট স্কোর। সাধারণত ৭৫০-এর বেশি স্কোরকে স্বাস্থ্যকর ঋণ প্রোফাইল ধরা হয়। এর পাশাপাশি, আগের ঋণ শোধের ইতিহাস, আর্থিক সততা ও কোনও বকেয়া আছে কি না তাও খতিয়ে দেখেন ঋণদাতারা।
চাকরির স্থায়িত্ব ও আয়ের ধারাবাহিকতা
Personal loan eligibility
ঋণ সংস্থাগুলি চায়, আবেদনকারী নিয়মিত আয় করছেন এবং তার চাকরি বা ব্যবসা স্থিতিশীল। চাকরির স্থায়িত্ব যত বেশি, ঋণ মঞ্জুরির সম্ভাবনা তত বাড়ে। এ জন্যই প্রায় সব সংস্থাই বেতন স্লিপ, আয়কর নথি কিংবা ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট জমা দিতে বলে।
ঋণ-আয়ের অনুপাত (Debt-to-Income Ratio)
একজন ঋণগ্রহীতার মাসিক ঋণ শোধের চাপ ও মাসিক আয়ের তুলনা করাই হলো DTI অনুপাত। সাধারণভাবে এটি ৪০–৪২ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। এর বেশি হলে ঋণগ্রহীতাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে অনেক সংস্থা।
জমা বা সম্পত্তি (Collateral)
যাঁদের ক্রেডিট স্কোর দুর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রে সঞ্চয় বা সম্পত্তি বড় ভূমিকা পালন করে। স্থায়ী আমানত বা অন্য সম্পত্তি জামানত হিসেবে রাখতে পারলে ঋণ পাওয়া সহজ হয়। এ ধরনের ঋণকে বলা হয় সিকিউরড পার্সোনাল লোন।
সময়মতো ঋণ শোধ
ক্রেডিট কার্ড বিল বা আগের ঋণের EMI সময়মতো পরিশোধ করা আর্থিক সততার প্রমাণ। ধারাবাহিকভাবে সময়মতো টাকা শোধ করলে ভবিষ্যতে নতুন ঋণ, হোম লোন কিংবা ক্রেডিট কার্ড অনুমোদন পেতেও সুবিধা হয়।
ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন করার আগে আবেদনকারীদের উচিত এই বিষয়গুলিতে নজর দেওয়া। প্রয়োজনীয় নথি গুছিয়ে রাখা, ঋণদাতাদের প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দেওয়া এবং সঠিক তথ্য দেওয়া, এসবই ঋণ অনুমোদনের পথ অনেক সহজ করে দেয়।
Business: Planning a personal loan? Learn the crucial factors for approval. This guide covers the three main criteria lenders evaluate: credit score, job stability, and debt-to-income ratio.