Oil Price: শীতের শুরুতেই জ্বালানি তেলে আগুন, দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত

গত কয়েক সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম (Oil Price)কমেছে। ফলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল তেল উৎপাদনের পরিমাণ আরও কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সেই অনুমান সত্যি করে…

Fuel price rise

short-samachar

গত কয়েক সপ্তাহে অপরিশোধিত তেলের দাম (Oil Price)কমেছে। ফলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল তেল উৎপাদনের পরিমাণ আরও কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সেই অনুমান সত্যি করে জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর কথা জানিয়েছে ওপেক প্লাস।এমন পরিস্থিতিতে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। এর জেরে বাড়তে পারে তেলের দাম।

   

আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওপেক প্লাসের তেলের সরবরাহ কমানোর পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর পাশাপাশি তারা উদ্বিগ্ন বৈশ্বিক ‍পণ্য উৎপাদন নিয়েও। তবে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২ শতাংশেও বেশি কমে ৮০ ডলারের নিচে নেমে গেছে।

এদিন ফেব্রয়ারি মাসে সরবরাহ হতে যাওয়া ব্রেন্ট ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ১.৯৮ ডলার বা ২.৪৫ শতাংশ কমে দাম নেমেছে ৭৮.৮৮ ডলারে।
একই সঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৮৯ ডলার বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে নেমে যায় ৭৪.০৭ ডলারে।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় ২.১ শতাংশ পড়ে যায়। অপরদিকে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামে কমে যায় ১.৯ শতাংশেও বেশি।

উল্লেখ্য, বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো ‘দ্য অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম কান্ট্রিস’ যা ওপেক নামে পরিচিত। আবার ওপেকের বাইরে অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশ ও ওপেক সদস্যদের একত্রে ওপেক প্লাস নামে অভিহিত করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) তেল উত্তোলনকারী দেশগুলো তেল উৎপাদন কতটা রাখবে সেই বিষয়ে আলোচনা বসে। এসময় ওপেক প্লাসের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন যে আগামী বছরের প্রথম কোয়ার্টারে বিশ্ববাজারে দিন প্রতি প্রায় ২.২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে সৌদি আরব ও রাশিয়ার সেচ্ছায় দিন প্রতি ১.৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওএনডিএ’র বিশ্লেষক ক্রেগ এরলাম। তিনি বলেন, ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলো বিশ্ববাজারে ৪০ শতাংশেও বেশি তেল সরবরাহ করে থাকে। জ্বালানি তেলের চাহিদার ওপর বৈশ্বিক মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রভাবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম প্রায় ৯৮ ডলারে নেমে যায়। ফলে জোটটি উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।