ভারতের তেল বিপণন সংস্থাগুলি প্রতি দিন সকাল ৬টায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আপডেট করে৷ যা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ওঠানামা এবং মুদ্রার বিনিময় হারকে প্রতিফলিত করে। এই পদক্ষেপটি স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি গ্রাহকদের সঠিক মূল্য জানাতে সহায়ক। ভারতে বর্তমানে তেলের দাম স্থিতিশীল হলেও, আন্তর্জাতিক কাঁচামাল তেলের দামের ওঠানামা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন সরাসরি প্রভাব ফেলে তেলের মূল্য নির্ধারণে।
বৃহস্পতিবার শহর কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১০৫.০১ টাকা এবং ডিজেল ৯১.৮২ টাকা৷ অন্যান্য শহরে জ্বালানির দর কত-
দিল্লি-প্রতি লিটার পেট্রোল ৯৪.৭৭ টাকা এবং ৮৭.৬৭ টাকা
মুম্বই-লিটার প্রতি পেট্রোল ১০৩.৫০টা এবং ডিজেল ৯০.০৩ টাকা
চেন্নাই-এ প্রতি লিটর পেট্রোল ১০০.৮০ টাকা এবং ডিজেল ৯২.৩৯ টাকা
নয়ডা-পেট্রোল ৯৪.৭১ টাকা ও ডিজেল ৮৭.৮১ টাকা
লখনউ- লিটার প্রতি পেট্রোল ৯৪.৬৯ টাকা ও লিটার প্রতি ডিজেল ৮৭.৮১ টাকা
বেঙ্গালুরু- প্রতি লিটার পেট্রোল ১০২.৯২ টাকা এবং ডিজেল ৮৮.৯৯ টাকা
হায়দরাবাদ- পেট্রোল ১০৭.৪৬ টাকা এবং ডিজেল ৯৫.৭০ টাকা
জয়পুর- পেট্রোল ১০৪.৪১ টাকা ও ডিজেল ৮৯.৯৩ টাকা
তিরুবনন্তপুরম- প্রতি লিটার পেট্রোল ১০৭.৩০ টাকা ও ডিজেল ৯৬.১৮ টাকা
ভুবনেশ্বর-পেট্রোল ১০১.৩৯ টাকা ও ডিজেল ৯২.৯৬ টাকা
ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দামে স্থিতিশীল রয়েছে ২০২২ সালের মে মাসে৷ যখন কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার তেলের ওপর শুল্ক কমিয়েছিল। এর ফলে সাধারণ মানুষের জন্য তেলের দাম কিছুটা সহনীয় হয়ে উঠেছে। তবে, তেল দামের ওপর এখনও একাধিক বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কারণ প্রভাব ফেলছে।
তেলের দামের প্রভাবিত মূল কারণসমূহ
কাঁচামাল তেলের দাম: আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামাল তেলের দাম ওঠানামা করলে তা সরাসরি ভারতের পেট্রোল ও ডিজেল দামে প্রভাব ফেলে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে, সেই সাথে দেশীয় বাজারেও দাম বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে।
বিনিময় হার: ভারত তেল আমদানি করে, আর কাঁচামাল তেল আমদানির জন্য ডলার ব্যবহার হয়। তাই, ভারতীয় রুপি দুর্বল হলে তেলের দাম বাড়ে, কারণ বেশি রুপি খরচ করে এক ডলার কিনতে হয়।
আয়কর: কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার পেট্রোল ও ডিজেলে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স আরোপ করে থাকে। এগুলোর পরিমাণ রাজ্যভেদে পরিবর্তিত হয়, ফলে এক শহর থেকে আরেক শহরে তেলের দাম আলাদা হতে পারে।
পরিশোধন খরচ: কাঁচামাল তেল পরিশোধনের জন্য কিছু খরচ হয়, যা তেলের চূড়ান্ত দামে যুক্ত হয়। এই খরচের উপরও বিভিন্ন ফ্যাক্টরের প্রভাব পড়ে, যেমন পরিশোধনাগারের দক্ষতা বা তেলের প্রকারভেদ।
চাহিদা ও সরবরাহ: তেলের দাম চাহিদা এবং সরবরাহের ওপরেও নির্ভরশীল। বিশেষ করে, প্রচুর চাহিদা থাকলে সরবরাহকারীরা দাম বাড়িয়ে দিতে পারে।
তেল দামের এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলে। সরকারের পাশাপাশি তেল বিপণন সংস্থাগুলিও এই দামের পরিবর্তন প্রতিদিন আপডেট করে যাতে গ্রাহকরা সঠিক তথ্য পেতে পারেন। তেল দামের ওঠানামা বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির সূচক হিসেবেও কাজ করে, তাই এটি কেবল স্থানীয় বা দেশীয় বিষয় নয়, বরং বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।