শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কুয়ালকমের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ক্রিস্টিয়ানো আর. অ্যামনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে ভারতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং দক্ষতা উন্নয়নের অগ্রগতি নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি কুয়ালকমের ভারতের সেমিকন্ডাক্টর এবং AI মিশনগুলিতে প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন এবং বলেন, “ভারত এমন একটি প্রতিভা এবং স্কেলে সমৃদ্ধ দেশ যা ভবিষ্যতের প্রযুক্তি তৈরি করতে অদ্বিতীয় সুযোগ প্রদান করে।”
ক্রিস্টিয়ানো অ্যামনের প্রতিশ্রুতি ও ভারতীয় ইকোসিস্টেম:
ক্রিস্টিয়ানো অ্যামন বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “ভারত-আমেরিকা অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে এবং IndiaAI ও India Semiconductor মিশনের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে এই আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। 6G প্রযুক্তিতে ভারতীয় উদ্ভাবনী পরিবেশ তৈরি করার সুযোগ আমাদের অনুপ্রাণিত করছে।” তিনি আরও বলেন যে ভারতীয় ইকোসিস্টেমকে AI-সক্ষম স্মার্টফোন, পিসি, স্মার্ট চশমা, অটোমোটিভ এবং শিল্প খাতে আরও বিস্তৃত করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য: Modi Qualcomm AI Meeting
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী X (পূর্বে Twitter) প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্টে বলেন, “মি. ক্রিস্টিয়ানো আর. অ্যামনের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত আনন্দদায়ক ছিল। ভারতের AI, উদ্ভাবন এবং দক্ষতা উন্নয়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কুয়ালকমের প্রতিশ্রুতি দেখেই ভালো লাগছে। ভারতের প্রতিভা এবং স্কেল এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে সক্ষম যা আমাদের সমষ্টিগত ভবিষ্যতকে রূপ দেয়।”
ক্রিস্টিয়ানো অ্যামনের প্রতিক্রিয়া:
ক্রিস্টিয়ানো অ্যামনও মোদীর পোস্টের উত্তরে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাই এই মূল্যবান আলাপচারিতার জন্য। IndiaAI ও India Semiconductor মিশন, এবং 6G ট্রানজিশনের ক্ষেত্রে ভারতীয় ইকোসিস্টেম তৈরি করার সুযোগ আমাদের উৎসাহিত করেছে। আমরা AI স্মার্টফোন, পিসি, স্মার্ট চশমা, অটোমোটিভ, শিল্প খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতীয় ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের শক্তিশালীকরণ:
এর আগে এই সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী মোদী আমেরিকার হাডসন ইনস্টিটিউটের বিশিষ্ট ফেলো ও চিন্তাবিদ ওয়াল্টার রাসেল মিড নেতৃত্বাধীন একটি আমেরিকান ব্যবসায়ী ও চিন্তাবিদ দলকে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের আলোচনায় ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি বৈশ্বিক শান্তি, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য আমাদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় ভারতের সম্ভাবনা:
এই বৈঠকগুলি ভারতের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন খাতের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষ করে AI ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে ভারতের অগ্রগতিকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও অংশীদারিত্বের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে।