সোনার দামে আগুন! বিয়ের বাজারে গহনা কিনতে মাথায় হাত ক্রেতাদের

Kolkata Faces Another Gold Price Hike; Silver On the Rise — Check Current Rates

কলকাতা, ২০ নভেম্বর: নভেম্বর-ডিসেম্বরের বিয়ের মরশুমে মধ্যবিত্তের চিন্তা যেন ক্রমেই বাড়ছে। কারণ, সোনার দামে (Gold Price)  আগুন। বিগত কয়েক মাস ধরেই সোনা-রুপোর দামে ওঠানামা চলছে। তবে গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যাঁরা এই সময়ে বিয়ে বা অন্য কোনও শুভ কাজের জন্য গহনা কেনার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাদের উপর চাপ পড়ছে দ্বিগুণ। বাজারে সোনার দাম যে হারে বাড়ছে, তা দেখে অনেকেই পরিকল্পনা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

Advertisements

সাধারণত বিয়ের মরশুমে সোনার চাহিদা বাড়ে। কারণ এই সময়ে গয়না কেনার প্রবণতা থাকে সবার মধ্যেই। কিন্তু এ বছর ছবিটা একেবারেই আলাদা। চাহিদা বাড়লেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। গতকালই একধাক্কায় ২৪ ক্যারেট সোনার দাম বেড়েছিল ১২ হাজার টাকা। এর সঙ্গে আরও বেড়েছিল ২২ ক্যারেট সোনার দামও। আজ, ২০ নভেম্বর, সেই ধারা বজায় রেখে আবারও দাম বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেল। বর্তমানে ২৪ ক্যারেট সোনার ১ গ্রাম দাম দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৭ টাকা। অর্থাৎ ১০ গ্রাম সোনার দাম এখন ১,২৪,৮৭০ টাকা। আর ১০০ গ্রাম সোনার দাম পৌঁছে গিয়েছে ১২,৪৮,৭০০ টাকায়। মাত্র একদিনে ১০০ টাকা সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি, ডলার-টাকার বিনিময় হার, বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ সম্পদে ঝোঁক—সব মিলিয়েই এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ।

   

সোনার দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। বিয়ের মরশুমে গহনা কেনা একপ্রকার বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে অনেক পরিবারেই।

গহনার দোকানদারদের কথায়, ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও কেনার সিদ্ধান্ত নিতে বেশিরভাগ মানুষই দ্বিধায় ভুগছেন। কেউ কেউ দোকানে এসে দাম দেখে ফিরেও যাচ্ছেন। আবার অনেকে প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণে সোনা কিনছেন। একইসঙ্গে ডিজাইনার জুয়েলারি বা লাইটওয়েট গহনার উপর ঝোঁকও বাড়ছে। কারণ হালকা সোনার গয়নাতে খরচ তুলনামূলকভাবে কম পড়ে।

Advertisements

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিসেম্বর পর্যন্ত সোনার বাজারে এই উর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পরিস্থিতি আরও টালমাটাল হয়, তবে দাম আরও বাড়তে পারে। তবে যাঁদের খুব জরুরি নয়, তাঁরা কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারেন। কারণ, দাম যখন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে, তখন কিছুদিনের মধ্যেই সামান্য হলেও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।