HomeBharatটেলিকম সেক্টরে চুপি চুপি দাম বাড়াল দুই সংস্থা

টেলিকম সেক্টরে চুপি চুপি দাম বাড়াল দুই সংস্থা

- Advertisement -

মুম্বই: ভারতের টেলিকম সেক্টরে আবারও দামবৃদ্ধির হাওয়া বইছে, এবার রিলায়েন্স জিও এবং ভারতি এয়ারটেলের নেতৃত্বে। গত কয়েক মাস ধরে এই দুই জায়ান্ট নিঃশব্দে তাদের জনপ্রিয় ২৪৯ টাকার প্রিপেইড প্ল্যান বন্ধ করে দিয়েছে, যা প্রতিদিন ১ জিবি ডেটা দিত। এখন বেস প্যাক শুরু হচ্ছে ২৯৯ টাকা থেকে, যাতে প্রতিদিন ১.৫ জিবি ডেটা মেলে এটা আগের দামের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।

আরও খারাপ খবর, রিপোর্ট বলছে যে আরও ১০-১৫ শতাংশ হাইক আসতে পারে শীঘ্রই, এবং জিও এর নেতৃত্ব দেবে তার আসন্ন আইপিওর আগে। এই খবর শুনে লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের মুখটা বিবর্ণ হয়ে গেছে, কারণ স্মার্টফোনের যুগে ডেটা তো জীবনের অঙ্গ। আসুন, এই ঘটনার পুরো গল্পটা একটু খুলে বলি, যাতে বোঝা যায় কেন এমন হচ্ছে এবং আমরা কী করতে পারি।

   

বন্ধ দ্বিতীয় হুগলি সেতু, বদলাচ্ছে হাওড়া-কলকাতা ট্রাফিক

প্রথমে বুঝে নেওয়া যাক কী ঘটেছে। জিও, যা দেশের সবচেয়ে বড় টেলিকম অপারেটর, গত আগস্ট মাস থেকে তাদের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ থেকে ২৪৯ টাকার ২৮ দিনের প্ল্যান সরিয়ে ফেলেছে। এই প্ল্যানে ছিল আনলিমিটেড কলিং, ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি এবং প্রতিদিন ১ জিবি হাই-স্পিড ডেটা, যা মোট ২৮ জিবি হয়। এখন যারা রিচার্জ করতে গেলে, সরাসরি ২৯৯ টাকার প্ল্যান দেখা যায়, যাতে ১.৫ জিবি/দিন ডেটা (মোট ৪২ জিবি) এবং একইভাবে আনলিমিটেড কলিং।

এয়ারটেলও একই পথ অনুসরণ করেছে তাদের ২৪৯ টাকার প্ল্যান বন্ধ, এবং নতুন বেস ২৯৯ টাকা (কিছু জায়গায় ২৭৯ টাকা) যাতে ১.৫ জিবি ডেটা। ভোডাফোন আইডিয়া (ভিআই) এখনও ২৪৯ টাকার প্ল্যান রাখছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারাও শীঘ্রই অনুসরণ করবে।

এই পরিবর্তনটা এত নিঃশব্দে হয়েছে যে অনেক গ্রাহক রিচার্জ করতে গিয়ে হঠাৎ অতিরিক্ত ৫০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো হইচই পড়ে গেছে রেডিটে একটা থ্রেডে লোকে বলছে, “এটা তো ডাকাতি! আগে ১৯৯, তারপর ২৩৯, এখন ২৯৯ কখন থামবে?”

আরেকজন লিখেছেন, “জিওর আইপিওর জন্য আমরাই টাকা দিচ্ছি।” কেন এমন হচ্ছে? টেলিকম কোম্পানিগুলোর যুক্তি স্পষ্ট—অ্যারপিইউ (আভারেজ রেভিনিউ পার ইউজার) বাড়ানো। ভারতে ডেটা দাম বিশ্বের সবচেয়ে কম, কিন্তু ৫জি রোলআউট, টাওয়ার স্থাপনা, স্পেকট্রাম পেমেন্ট এসবের খরচ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। জিও একাই ২০২৪-এ ৭০,০০০ কোটির বেশি বিনিয়োগ করেছে ৫জি নেটওয়ার্কে।

ফলে, লাভের মার্জিন কমে যাচ্ছে। জেপি মরগানের রিপোর্ট বলছে, এই হাইকের মাধ্যমে তারা রেভিনিউ স্টেবিলাইজ করতে চায়, বিশেষ করে জিওর আইপিওর আগে। জিওর আইপিও সম্ভবত ২০২৬-এ হবে, এবং তার আগে শেয়ারহোল্ডারদের আকর্ষণ করতে শক্তিশালী ফিনান্সিয়াল দেখাতে হবে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular