জীবন প্রমাণ রিজেক্ট হলে কী করবেন? পেনশন বিলম্ব এড়াতে জরুরি নির্দেশিকা

Jeevan Pramaan Submission November 30

পেনশনভোগীদের নিরবচ্ছিন্ন পেনশন পাওয়ার জন্য প্রতি বছর ‘জীবন সনদ’ বা ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (জীবন প্রমাণ) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, চলতি বছরে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সকল পেনশনভোগীকে এই সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। জীবন প্রমাণ হল আধার-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক ডিজিটাল সার্টিফিকেট, যা পেনশনভোগীর জীবিত থাকার প্রমাণ হিসাবে ব্যাংক, ডাকঘর বা যে কোনও পেনশন বিতরণকারী সংস্থার কাছে গ্রহণযোগ্য।

Advertisements

প্রতি বছর নভেম্বর মাসে পেনশনভোগীরা ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে ভিড় জমিয়ে জীবন সনদ জমা দেন। তবে অনেক সময় ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (DLC) প্রত্যাখ্যাত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ছোটখাটো ভুল বা বায়োমেট্রিক সমস্যার কারণে ঘটে, যা ঠিক করা সম্ভব এবং সমস্যার সমাধান হলে পেনশনেও কোনও বিঘ্ন ঘটে না।

   

জীবন সনদ বাতিল হওয়ার সাধারণ কারণ:

অনেক সময় ভুল আধার নম্বর, পিপিও নম্বর, পেনশন অ্যাকাউন্ট নম্বর অথবা অন্যান্য তথ্য ভুল দেওয়ার কারণে DLC বাতিল হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক স্ক্যান পরিষ্কার না হওয়ায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আইরিস ম্যাচিং ব্যর্থ হয়। প্রত্যাখ্যানের SMS পাওয়ার পর প্রথমেই নিজের ব্যাংক বা ডাকঘরে যোগাযোগ করে সঠিক কারণ জানা জরুরি।

Advertisements

সমস্যা সমাধানের ধাপ: Jeevan Pramaan Submission November 30

১. SMS পরীক্ষা করুন: তাতে সাধারণত ভুল তথ্য বা বায়োমেট্রিক ব্যর্থতার কথা উল্লেখ থাকে।
২. ব্যাংক/ডাকঘরে যোগাযোগ করুন: সমস্যার কারণ সরাসরি জেনে নিলে সময় নষ্ট হয় না।
৩. ভুল তথ্য সংশোধন: আধার, পিপিও বা অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল হলে তা সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করতে হবে।
৪. বায়োমেট্রিক পুনরায় দিন:
হাত ধুয়ে শুকিয়ে নিন,
অন্য আঙুল ব্যবহার করুন,
ভালো স্ক্যানারযুক্ত কেন্দ্র বেছে নিন,
আইরিস স্ক্যান আপনার জন্য উপযোগী হলে সেটি ব্যবহার করুন।
৫. নতুন জীবন প্রমাণ তৈরি করুন: সমস্যা সমাধানের পর পুনরায় DLC তৈরি করলে নতুন জীবন প্রমাণ আইডি জেনারেট হবে।
৬. ব্যাংকের সঙ্গে নিশ্চিত করুন: নতুন DLC ব্যাংক বা PDA গ্রহণ করেছে কিনা তা যাচাই করা আবশ্যক।

কীভাবে তৈরি করবেন জীবন সনদ?

ডিপার্টমেন্ট অফ পেনশন অ্যান্ড পেনশনার্স’ ওয়েলফেয়ারের (DoPPW) নির্দেশ অনুযায়ী, জীবন প্রমাণ তৈরি করতে পেনশনভোগীর আধার নম্বর, নাম, মোবাইল নম্বর, পিপিও, পেনশন অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাংক বিবরণ, পেনশন অনুমোদনকারী ও বিতরণকারী সংস্থার তথ্য প্রয়োজন। সুবিধার জন্য সরকার ম্যানুয়াল ও ডিজিটাল—দুই ধরনের বিকল্প রেখেছে, যাতে পেনশনভোগীরা নিজের সুবিধামতো জীবন সনদ জমা দিতে পারেন।