AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভয়ানক হামলা করতে চলেছে ইজরায়েল

শিক্ষা, চিকিৎসা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেড়েই চলেছে AI এর ব্যবহার। তবে এবার এই AI ব্যবহৃত হবে যুদ্ধক্ষেত্রেও। সামরিক অভিযানে কৃত্রিম…

শিক্ষা, চিকিৎসা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেড়েই চলেছে AI এর ব্যবহার। তবে এবার এই AI ব্যবহৃত হবে যুদ্ধক্ষেত্রেও। সামরিক অভিযানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছে ইজরায়েল। মূলত বিমান হামলা চালানোর সময় টার্গেট ধ্বংস করতেই এই নতুন পদক্ষেপ। এটি ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জটিল করে তুলতে পারে। শুধুমাত্র টার্গেট সিলেকশনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে না। মিলিটারি রেঞ্জ সহজ করতেও ব্যবহার করা হবে। ফোর্সের জন্য কি কি অস্ত্র কতটুকু লাগবে, টার্গেট এসাইন করা এবং রিসোর্স ক্যালকুলেট করে দেয় এটি। এয়ারক্রাফট এবং ড্রোনের জন্য হাজার হাজার টার্গেট নির্ধারণ করতে এবং আক্রমণের সময়সূচি প্রস্তাব করতে অন্যান্য সিস্টেম থেকে ডেটা সংগ্রহ এবং ব্যবহার করে এই মডেল। হামলার সিডিউল এই AI ঠিক করে দেয়।

এইসব কাজ করতে মডেলটি সময় নেয় মাত্র কয়েক মিনিট। যদিও সুনির্দিষ্ট অভিযানের কথা এখনো জানা যায়নি। তবে ফিলিস্তিনি জঙ্গি লেবানন এবং ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইজরায়েল। দেশটির কর্মকর্তাদের মতে, দ্রুত এবং আরো ভালো লক্ষ্য সনাক্তকরণের জন্য সামরিক বাহিনী এআই সাজেশন সিস্টেম ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ তথ্য অল্প সময়ে প্রক্রিয়া করতে পারছে।

মিলিটারির রেডের পরিকল্পনা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স করে দিলেও তা অপারেট হয় একজন মানুষ অপারেটরের অনুমোদনের পর। তবে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল কেনও ইজরায়েল এই প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে? ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে মাঠে নেমেছে ইজরায়েল। ইরানকে কোনও মতেই নিউক্লিয়ার পাওয়ার অর্জন করতে দেবে না ইহুদি রাষ্ট্রগুলি।

তারা মনে করছে পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ইরানের পক্ষ নিয়ে সিরিয়া তাদের ওপর আক্রমণ চালাবে। এমন আক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপর ভরসা করছে ইসরায়েল। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজ ইন্টারন্যাশনাল ফ্রেমওয়ার্ক না থাকায় ইসরায়েলের এই পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা। এআই ইন্টেলিজেন্স নিয়ে জাতিসংঘের উদ্যোগ এখনো পর্যন্ত কাজে আসেনি।