মুম্বই, ২০ অক্টোবর: সোনা শুধু গয়না নয়, ভারতীয় সংস্কৃতিতে এটি এক অমূল্য ঐতিহ্য। সাম্প্রতিক এক বিশ্ব অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতীয় মহিলাদের হাতে যত সোনা রয়েছে, তা বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের সম্মিলিত সোনা রিজার্ভকেও ছাড়িয়ে গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় মহিলাদের কাছে রয়েছে প্রায় ২৫,৪৮৮ টন সোনা। তুলনায়, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে ৮,১৩৩ টন, জার্মানির ৩,৩৫১ টন, ইতালির ২,৪৫১ টন, ফ্রান্সের ২,৪৩৭ টন, রাশিয়ার ২,৩৩২ টন, চিনের ২,২৭৯ টন, সুইজারল্যান্ডের ১,০৩৯ টন, জাপানের ৮৪৫ টন, নেদারল্যান্ডসের ৬১২ টন এবং পোল্যান্ডের ৪৪৮ টন সোনা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ভারতীয় মহিলাদের এই বিপুল সোনার ভাণ্ডার কেবল পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতীক নয়, বরং দেশের “অঘোষিত অর্থনৈতিক শক্তি”। গ্রামীণ ও শহুরে উভয় স্তরেই সোনা একদিকে সামাজিক মর্যাদা, অন্যদিকে সঞ্চয়ের অন্যতম নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে গণ্য হয়।
উৎসব মৌসুমে—বিশেষ করে ধনতেরাস, দীপাবলি ও বিবাহের সময়—সোনার কেনাবেচা আরও চাঙ্গা হয়। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামের ওঠাপড়ার মধ্যেও ভারতীয় মহিলারা তাদের গয়না বিনিয়োগে ধারাবাহিক আগ্রহী, যা ভারতীয় অর্থনীতিকে এক অনন্য স্থিতি দিচ্ছে।
একজন অর্থনীতিবিদের ভাষায়, “ভারতীয় মহিলাদের কাছে থাকা সোনার পরিমাণকে যদি দেশের রিজার্ভে যুক্ত করা যেত, তবে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সোনাধারী রাষ্ট্র হতো।”
শেষ কথা, ভারতীয় মহিলাদের অলংকারের প্রতি টান আজ বিশ্ব অর্থনীতিতেও আলোচনার বিষয়। সোনার এই ভাণ্ডার শুধু সৌন্দর্যের নয়, বরং ভারতের অদৃশ্য আর্থিক শক্তির প্রতীকও বটে।